স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে প্রথম কর্মদিবসেই নাজমুল হাসান পাপন খোঁজখবর নিয়েছিলেন কাজী মো. সালাউদ্দিনের এবং বলেছিলেন তিনি তাকে দেখতে যাবেন। মাঝে ক্রীড়ামন্ত্রী বেশ কয়েকদিন দেশের বাইরে ছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার কারণে।
দেশে ফিরে বেশি সময় নেননি ক্রীড়ামন্ত্রী, মঙ্গলবার সকালে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে দেখতে তার বারিধারার বাসায় গিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। বাসায় ঢুকতেই ক্রীড়ামন্ত্রীকে স্বাগত জানান কাজী মো. সালাউদ্দিন।
আধঘণ্টার মতো কাজী সালাউদ্দিনের বাসায় ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। বের হওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি এসিসির এজিএমের জন্য দেশের বাইরে ছিলাম। আসার পর জানানো হলো যে কোনো সময় আমি আসতে পারি। তাই আজ চলে আসলাম।’
কেমন দেখলেন বাফুফে সভাপতিকে? জবাবে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি তো আর ডাক্তার না। আমার কাছে দেখে মনে হচ্ছে, আল্লাহর রহমতে উনি এখন খুব ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। আমি প্রথমেই তাকে দেখে বললাম, হাঁটাচলা করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে, সেটাই ভালো লেগেছে দেখতে। এত বড় সার্জারির পর নিবিড় পরিচর্যা দরকার আছে। আরও কিছুদিন তাকে পরিচর্যায় থাকতে হবে। আমার মনে হয়, তারপর তাকে আবার আগের মতো সব জায়গায় দেখা যাবে।’
দেশের ক্রীড়ার দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাক্ষাৎ। খেলা নিয়ে আলোচনা তো হবেই। এবং তা অবশ্যই ফুটবল নিয়ে। এ বিষয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘আসলে ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমি ইতিমধ্যে আলোচনায় বসেছিলাম। উনাদের প্রধান ইস্যুগুলো আমি শুনেছি। আজ যেহেতু ওনার সাথে দেখা করতে আসলাম, উনিও কয়েকটা সমস্যার কথা বলেছেন। সমস্যার কথাগুলো শুনেছি। আমি বলেছি, ঠিক আছে আপনি একবারে সুস্থ হয়ে আসেন। আমি কিছু কাগজপত্র চেয়েছি। ওনাকে বলেছি, এর মধ্যে যদি পারেন তাহলে কিছু কাগজপত্র পাঠান। এগুলো দেখে পরে কী করা যায়, আমরা দেখব।’
সাবিনাদের মিয়ানমার না পাঠানোর বিষয় নিয়ে দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতির মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। বিসিবি সভাপতি এখন দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী, সব ফেডারেশনের অভিভাবক।
এই দেখতে আসার পর সেই তিক্ততার অবসান হলো কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘এত বছরের সম্পর্ক একদিনের কথায় তো আর নষ্ট হয় না। ছোটবেলা থেকে মাঠে যেতাম তো উনার খেলা দেখতেই। এটা তো অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। উনার মতো কিংবদন্তি ফুটবলার বাংলাদেশে আর নেই। ছোটবেলা থেকেই বলতে গেলে মাঠে যেতাম খেলা দেখতে, উনার জন্য। অনেক সময় অনেক কথায় কষ্ট উনিও পেতে পারেন, আমিও পেতে পারি। একটা প্রতিক্রিয়া হলো, আর দেখালাম। সেটা ওখানেই শেষ। কিন্তু সম্পর্ক তো শেষ হয়নি।’
ফুটবল নিয়ে বাফুফে সভাপতি কোনো সমস্যার কথাগুলো বলেছেন? নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ওনাদের বড় সমস্যার মধ্যে একটা তো অবশ্যই খেলার মাঠ নেই। তারপর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামটা এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে, খেলার কোনো জায়গা নেই। এটা বড় সমস্যা, অস্বীকারের উপায় নেই। আমি বলেছি, বৃহস্পতিবার যাচ্ছি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দেখতে। আর যাতে দেরি না হয়, কাজ যাতে তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়, এখন যে নতুন শিডিউলটা দিয়েছে সেটার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব। ওনাদের খেলার কোনো জায়গা বের করা যায় কি না- সেটা অবশ্যই আমি দেখব।’