এম এইচ সামাদ,নেত্রকোনা:
দায়িত্ববোধ নিজের কাছে।দায়িত্বশীলদের হাতে দায়িত্ব থাকলে উপকৃত হয় দেশ ও সমাজ। বাস্তব প্রমাণ দিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম আশরাফুল আলম। পদন্নোতি পেয়ে পুলিশ সুপার হলেও তিনি নেত্রকোনা জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
নেত্রকোনাবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে রাত জেগে রাজপথ টহল দিচ্ছেন তিনি। পদবি অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ কারণ ছাড়া রাতভর যদিও সড়কে থাকার কথা না এই পুলিশ কর্তার। তবুও তিনি করোনা প্রতিরোধ করে জেলাবাসীকে সুস্থ রাখতে রাত জেগে থাকেন। নজরদারি করেন জেলায় বহিরাগতদের ওপর। এরইমধ্যে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীবাহী (৪১ জন) একটি বাসও আটক করলেন। যদিও তিনি পারতেন ঘরে শুয়ে-বসে অধীনস্থদের দিকনির্দেশনা দিয়ে দায় সারতেন।কিন্তু না তিনি তা না করে সতর্কতা অবলম্বন করে নিজেই মাঠে নামলেন ‘করোনা যুদ্ধে’।
করোনা প্রতিরোধে বহিরাগত (ঢাকা) ৪১ যাত্রীর বাসটিকে জেলা শহরের প্রবেশ মুখেই পাড়লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাত ৩ টায় আটকে দিলেন তিনি। জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা ছিলো বাসযাত্রীদের গন্তব্যস্থল। যাত্রী কিংবা চালক পারলো না কেউ ফাঁকি দিতে নিশাচর চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তার চোখ! যদিও ধান কাটার শ্রমিক দাবিসহ নানাবিধ কৌশল ফলাতে চেয়েছিলেন চালক ও যাত্রীরা।
অবশেষে রাতের আঁধারে ফেলে আসা পথ ধরেই ফিরতে হলো তাদের। মাঝখানে শারীরিক পরিশ্রম আর চালকের কাঁধে নিতে হলো আইনের ঘানি। পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম এনএনবি বাংলাকে জানন- ইমোশন দেখিয়ে তো জেলার লাখ লাখ মানুষকে জীবন ঝুঁকিতে ফেলা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে যাত্রীবাহী বাসটিকে শহরে ঢুকতে না দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন তথা ঘরে অবরুদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই।