নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ টেলিভিশনের ১ম শ্রেণীর সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক সুমন আহম্মেদ রঞ্জনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র সুমন আহম্মেদ রঞ্জন ২০১৫ সালের ৭ মার্চ পৃথিবীর মোহমায়া ছেড়ে পাড়ি জমান অনন্তের পথে। দিনটি স্মরণে তাঁর বড় ছেলে দেশের প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক ‘আজকের পত্রিকা’র জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপন মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বাদ জোহর কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।
ওস্তাদ সুমন আহম্মেদ রঞ্জন ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জেলার অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘লোকজ সাংস্কৃতিক সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার গাইটাল শ্রীধরখিলা এলাকার বাসিন্দা সুমন আহম্মেদ রঞ্জন ওস্তাদ অমর চন্দ্র শীল, ওস্তাদ অখিল ঠাকুর, ওস্তাদ পরেশ ভট্টাচার্য্য, ওস্তাদ মিথুন দে, ওস্তাদ জমিদার বিরাজ মোহন রায় প্রমুখের কাছে সংগীতের তালিম নেন।
১৯৮৫ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতারে সংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে তালিকাভূক্ত হন। তাঁর লেখা ও সুর করা অসংখ্য গান বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে তাঁর নিজের লেখা ও সুরারোপ করা গানের একক সংগীত সন্ধ্যাসহ তাঁর সরব পদচারণায় মুখর ছিল কিশোরগঞ্জের সঙ্গীতাঙ্গণ।