কক্সবাজার সংবাদদাতা:কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড সদস্য শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
গত ১৪ আগষ্ট শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার -চট্টগ্রাম মহাসড়কের খরুলিয়া বাজার এলাকায় ব্যানার পেস্টু নিয়ে মানববন্ধন সৃষ্টি করে এলাকার সাধারণ মানুষ। আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে স্থানীয় জনসাধারণের দাবি দায়ের কৃত মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা হউক।এতে বক্তব্য রাখেন ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ, আবুল হোসেন, সলিমুল্লাহ, খরুলিয়া বাজার বণিক সমিতির মোঃ আলম, ফরিদ উদ্দিন ও নুরুল ইসলাম সহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী মানুষ বলেন এলাকায় কোন ঘটনা, দুর্ঘটনা হলে জনপ্রতিনিধিরা খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন।
বরাবরের মতো ঐ দিনও ইয়াবা ব্যবসায়ী আটকের খবর পেয়ে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সদস্য মোঃ শরিফ উদ্দিন ঘটনা স্থলে গিয়ে আটক ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কিন্তু এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৯ নাম্বার ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিনকে দুই নাম্বার আসামি করা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের শেষ নেই।এলাকার জনগণের ভাষ্য মতে ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার প্রতিপক্ষের লোকজন বাদীপক্ষের সাথে আতাঁত করে তাকে অহেতুক হয়রানী করার জন্য এই মামলায় জড়িত করা হয়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে উক্ত মামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক নিরীহ জনগণের উপর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে গত ১০ আগষ্ট দুপুরে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া বাজার এলাকায় খুচরা ইয়াবা বিক্রি কালে ইয়াবা ও নগদ ১ লক্ষ আটাশ হাজার টাকা সহ জনতার হাতে আটক হন নবী হোসেন নামের ইয়াবা ব্যাবসায়ী। জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগণকে ছুরিকাঘাত করার ভয় দেখিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে উপস্থিত জনতা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরবর্তীতে আটকৃত ইয়াবা ব্যাবসায়ীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে উপস্থিত লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খবর দেন। ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার শরিফ উদ্দিন এসে বিকেলে সদর মডেল থানা পুলিশের এস আই সঞ্জয়ের হাতে ইয়াবা ও নগদ টাকা সহ গনধোলাইর শিকার নবী হোসেন কে পুুলিশের হাতে তুলে দেয়।
গত ১১ আগষ্ট সকাল পৌনে ৮ টার দিকে জেলহাজতে ইয়াবা ব্যাবসায়ী নবী হোসেন শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে গেলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য।কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সকাল ৯ টার দিকে ।পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নবী হোসেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শাহজাহান কবিরকে ক্লোজ করা হয়।পরবর্তীতে এই অপমৃত্যু কে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে।