নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডকেই ‘রেড জোনে’র আওতায় আনা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে আগামী ২০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকবে। রেড জোন এলাকায় সকল প্রকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবে।
ইতোমধ্যে রেড জোন সম্পর্কিত ৭টি নির্দেশিকা দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ উল্লাহ মারুফ জানান, জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে কক্সবাজার পৌর এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমগ্র পৌরসভাকে ‘রেড জোনে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, লকডাউন থাকাকালে প্রয়োজনে এসব এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রেড জোন এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি থাকবে। সীমিত পরিসরে হলেও বাজার খোলা থাকবে না। পুরোপুরি স্বাস্থ্য বিধি মানা সাপেক্ষে শুধু রোববার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা যাবে। এই সময়ে কোন ধরনের দোকান, মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। শুধু ওষুধের দোকান খোলা যাবে। সব ধরনের ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণও বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন টার্মিনাল ‘রেড জোনে’র বাইরে স্থানান্তর করতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। ১৪ দিনের এই লকডাউনে জরুরি সংবাদ সংগ্রহের কাজে সাংবাদিকদেরও কার্ড নিতে হবে। জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা থাকবে। রবিবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে।