প্রত্যয় ডেস্ক: চীন-আমেরিকাকে পেছনে ফেলে সবার আগে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল রাশিয়া। তবে তাদের সেই দাবির সত্যতা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন। তবে এবার ভ্যাকসিন চূড়ান্তভাবে বাজারে আনতে চলেছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। চলতি মাস থেকেই উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে বলে তাদের দাবি। রাশিয়ার উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলেগ গ্রিডনেভ জানিয়েছেন, ‘মস্কোর গ্যামেলিয়া সেন্টার ১২ আগস্ট বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিবন্ধন করবে। তিনি আরো বলেছেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাকর্মী ও প্রবীণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র মন্ত্রী মিখাইল মুরশকো গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘অক্টোবরে দেশব্যাপী গণটিকা কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার পুরো ব্যয় সরকার বহন করবে।’ শুক্রবার সকালে গ্রিডনেভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্যামেলিয়া সেন্টারে বিকশিত এই ভ্যাকসিনের নিবন্ধন শুরু হবে। এখন শেষ পর্যায়ে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালটি চলছে, এটি পরীক্ষার অংশ এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বুঝতে হবে যে ভ্যাকসিনটি শতভাগ নিরাপদ কি না সেটা নিশ্চিত হতে হবে।’
রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাসখোও দাবি করেছেন, গ্যামেলিয়ার তৈরি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পর্ব শেষ হয়ে গেছে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে।’ নিবন্ধনের তিন থেকে সাত দিনের মধ্যেই বাজারে এসে যাবে ভ্যাকসিন।
গ্যামেলিয়া সেন্টারের টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মস্কোর সেকেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জুন থেকে শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ট্রায়ালে ৩৮ জন স্বেচ্ছাসেবী জড়িত। সেখানে এটি সুরক্ষা প্রোটোকল পাস করেছে। দেখা গেছে, যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের সবার শরীরেই সংক্রমণের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
রাশিয়ায় মূলত দুটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। একটি বানিয়েছে রুশ সরকার পরিচালিত ভেক্টর স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি। দ্বিতীয়টি বানাচ্ছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় গ্যামেলিয়া সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি।