প্রত্যয় ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে যত জন বিশ্বে শনাক্ত হয়েছে, সংক্রমিতের সংখ্যা তার অনেক বেশি বলে অনেক গবেষকের দাবিকে ভিত্তি দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের তথ্য। একটি জরিপের উপর ভিত্তি করে যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান বিভাগ বলছে, যতজনের দেহে নতুন করোনাভাইরাসে অস্তিত্ব ধরা পড়েছে, তার ৭৮ শতাংশেরই নমুনা পরীক্ষার সময় কোনো উপসর্গ ছিল না।
যার অর্থ উপসর্গহীন এমন অনেক থাকতে পারে, যারা ভাইরাস সংক্রমিত হলেও অসুস্থ না হওয়ায় নমুনা পরীক্ষা না করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে রয়েছেন। আবার অশনাক্ত এই ব্যক্তিরা আবার রোগ বহনের ঝুঁকিও তৈরি করছেন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে এক কোটি ২৫ লাখ মানুষকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌনে ৩ লাখের বেশি, তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজার জনের। দেশটির অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনাক্ত রোগীদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার সময় মাত্র ২২ শতাংশের রোগের লক্ষণ ছিল। নমুনা পরীক্ষার সময় ৭৮ শতাংশের কোনো উপসর্গ ছিল না।
উপসর্গহীন ব্যক্তিরা সেবা কেন্দ্রে এই সংক্রমণ ছড়াতে ভূমিকা রাখছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বেশির ভাগ সেবাকেন্দ্র কোনো নির্দেশনা মেনে চলেনি।
এই বক্তব্যের অর্থ ব্যাখ্যা করে পরে তার সহকারি অলোক শর্মা বলেন, ওই সময় কেউই আসলে সঠিক বিধি বুঝে উঠতে পারেনি। কারণ এই মহামারীর শুরুতে কারোরই উপসর্গহীন আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে সংক্রমণ ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে ধারণা ছিল না। বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য ও সমাজকর্মীরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।
পরিসংখ্যান অফিসের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, যারা স্বাস্থ্য ও সামাজিক কাজে মানুষের সংস্পর্শে বেশি যাচ্ছেন এবং ঘরের বাইরে কাজে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বেশি। তবে ওএনসের জরিপ করা হয়েছিল মাত্র ১২০ জন আক্রান্তকে নিয়ে। আর তাই এর ফল থেকে কারা সহজেই আক্রান্ত হচ্ছেন এমন কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্ত টানার সুযোগ নেই।