—————————————————————
বৈশ্বিক করোনা মহামরীতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই জাতীয় দূর্যোগময় মুহূর্তে সরকারের নানাবিধ জরুরী কর্মকান্ডে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে হেল্থ ওয়ার্কার, পুলিশ, আর্মি ও প্রশাসনের লোকজনের পাশাপাশি আরো একটি পেশাজীবি শ্রেনীকে যদি সম্পৃক্ত করা না যায় তবে এই সমন্বিত পরিশ্রমের প্রত্যাশিত সুফল পাওয়াটা কঠিন হয়ে যাবে।
আর সেই পেশাজীবি শ্রেনীর মধ্যে পড়েন দেশের সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতারা।
যেহেতু করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন আবিস্কৃত হয় নি, সেহেতু শুধুমাত্র প্রতিরোধই একমাত্র চিকিৎসা । আর প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো সরকার নির্দেশিত অল্প কিছু বিধিনিষেধ সাময়িক মেনে চলা।
সরকার ইতিমধ্যে বিশ্বজুডে এই ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের ভয়ংকর রুপ পর্যবেক্ষণ করে জরুরী সরকারী ছুটি বা অঘোষিত লক ডাউনের ঘোষনা দিয়ে জনগনকে সচেতন ও সাবধান করতে নানাবিধ জনমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছ।কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় হলো, জনগন বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পাড়ায় সরকার জনগনের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাচ্ছে না।
তৃতীয় বিশ্বের নিম্ন মধ্যম আয়ের ধর্মভীরু একটি জাতির মধ্যে মহামারীর মতো দূর্যোগময় মুহূর্তে মানুষ ধর্মীয় নেতাদের নির্দেশনার যতটা গুরুত্ব দেয় ততটা গুরুত্ব চিকিৎসা বা প্রসাশনিক নির্দশনায় দিতে চায় না।যুক্তি আর আইন দিয়ে জনগনকে যেটা মানানো যায় না সেই কাজটাই মসজিদ মন্দিরের ধর্মীয় নেতারা খুব সহজে করে দিতে পাড়েন।এবং এটা তখনই সম্ভব যখন উনারা নিজেরা বিধিনিষেধের প্রয়োজনিয়তা ও গুরুত্ব উপলব্দি করবেন।
রাষ্ট্রীয় উদ্দোগে ধর্মীয় নেতাদেরকে যদি বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা যায় আর উনারা যদি মানুষের জীবনের স্বার্থে পরিস্থিতি উপলব্দি করে এই প্রতিরোধমূলক নির্দেশনাগুলি নিজেরা মানেন ও কমিউনিটিতে প্রচারনার দায়িত্ব নেন তবে আশাতীত সফলতা আসবে বলে ধরা যায়।
এবং এটা সম্পূর্নই ব্যক্তিগত মতামত।
#STAY_HOME_STAY_SAFE
ডা:মাহফুজ আহমেদ রনক
জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট
ঢাকা,বাংলাদেশ।
০১-০৪-‘২০