সরোয়ার জাহান,ডিমলা,নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় চলমান করোনা সংকটে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনের সংশ্লিষ্ট পরিচালক, শিক্ষক ও কর্মচারীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল দেখে অনেক অভিভাবক তার প্রিয় সন্তানকে ভর্তি করান কিন্ডারগার্টেনে। ডিমলা উপজেলায় এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৬০০ শিক্ষক-কর্মচারী। শিক্ষার্থীদের বেতন থেকেই শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা হয়। কিন্তু করোনায় সরকারি আদেশে গত ১৮ মার্চ হতে সকল কিন্ডার গার্টেন বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন থেকে বেতন নেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের।
ডিমলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার, স্বপন কুমার দাস জানান, উপজেলায় প্রায় ৬০ টির মতো কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এদের মধ্যে সমাপনী পরীক্ষায় ডিমলা উপজেলায় শীর্ষস্থান ধরে রাখছে এসব বেসরকারীভাবে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের অর্থবিত্ত না থাকলেও সমাজে রয়েছে তাদের শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি। ডিমলা উপজেলার কিন্ডারগার্টেনের অনেক শিক্ষক জানান, অর্থ না থাকলেও শিক্ষক পরিচিতির কারণে আমরা অন্যের নিকট সাহায্য চাইতে পারি না কিংবা লাইনে দাড়িয়ে ত্রান নিতে পারি না। চলমান করোনা দুর্যোগে আমরা শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারি সহায়তা, রেশন কার্ড ও নগদ অর্থ প্রনোদনা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।