নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করিমগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী প্রজ্ঞা মোস্তফাকে (২৯) হত্যার দায়ে স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে (৪১) মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন। এসময় আসামি দেলোয়ার হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম.এ আফজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেলোয়ার হোসেন করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের উত্তর চানপুর এলাকার মৃত ইমাম উদ্দিনের পুত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামের আহসান মোস্তফার মেয়ে প্রজ্ঞা মোস্তফার। বিয়ের তিন মাস পর বিদেশ চলে যায় দেলোয়ার। এরপর সেখানে দুই মাস থেকে খালি হাতে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তখন থেকিই বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য চাপ দিতেন প্রজ্ঞাকে। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে পারবে না বলে অপারগতা জানায় প্রজ্ঞা। এ নিয়ে প্রায়ই তাকে শারীরিক নির্যাতন করত দেলোয়ার। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ সকালে আবারো যৌতুকের দাবিতে চাপ দিলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে প্রজ্ঞাকে জবাই করে পালিয়ে যায় দেলোয়ার। হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের ৩ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান ছিল।
ঘটনার দিন রাতেই নিহত প্রজ্ঞা মোস্তফার বাবা মো. আহসান মোস্তফা বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওইদিন রাতেই আসামি দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত শেষে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মাসুদ ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শোষ এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী নিহত প্রজ্ঞা মোস্তফার বাবা আহসান মোস্তফা জানান, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।