নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার( ২৩ জুলাই) কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অবস্থিত বেশ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালকের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জ এর সহযোগিতায় ভৈরব উপজেলার কমলপুর ঈদগারোড এলাকায় অবস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক হৃদয় রজ্ঞণ বণিক।
মনিটরিং কালে দেখা যায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ সাটানো বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্ট এর মূল্য এর সাথে ভোক্তাকে দেওয়া বিল কপির মিল নেই এবং মূল্য তালিকা থেকে বিভিন্ন টেস্ট থেকে টেষ্ট এর মূল্য বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ট্রমা মেডিসিন কর্নারে ফাইয়ার এক্সটিংগুইশার এর মেয়াদ উত্তীর্ণ, সাইদ -ইউসুফ মেমোরিয়াল হসপিটালে দেখা যায় কিছু টেস্ট এর মূল্য বাবদ বাড়তি দামে নেওয়া হচ্ছে, যা ঐ প্রতিষ্ঠানের মূল্য তালিকার সাথে বেমানান।
আল-মাহিন ফার্মেসি তে পাওয়া যায় ফিজিশিয়ান স্যাম্পল এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ।
পদ্মা জেনারেল হসপিটাল এ মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনসুলিন ও বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার রিএজেন্ট, যা বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা র জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ট্রমা মেডিসিন কর্নারকে দশ হাজার টাকা, সা্ইদ-ইউসুফ মেমোরিয়াল হসপিটালকে বিশ হাজার টাকা, আল মাহিন ফার্মেসিকে দশ হাজার টাকা, পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল কে ত্রিশ হাজার টাকা অর্থ দন্ড আরোপ ও আদায় করা হয় ।
অভিযান এ প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন ভৈরব স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগম, এবং রুহুল আমিন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয় ভৈরব এবং ইলিয়াস হোসেন (এস আই) এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি তদারকি টিম।
সহকারী পরিচালক হৃদয় রজ্ঞণ বণিক জানান, জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান প্রতিনিয়িত ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকবে।