কক্সবাজার সংবাদদাতা:কক্সবাজার জেলার সাগর বেষ্টিত দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলায় বঙ্গোপ সাগরে মাছ ধরার জলমহাল দখল-বিরোধ নিয়ে চলছে একে অপরের উপর প্রতিহিংসা মুলক জবরদখল ও স্থানীয় জেলেদের জাল নষ্ট নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এলাকার জেলেদের মধ্যে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে সংবাদ সম্মেল করে বহু ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ তুলেধরেছে কুতুবদিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জেলেরা। এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলার সব জনপ্রতিনিধি গণ অবিহিত রয়েছে যে বিষয়টির ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে গত ১০ আগষ্ট আইনশৃংখলা রক্ষা কমিটির মাসিক সভায়। বিষয়টি দ্রুত ভাবে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল চৌধূরী।
কুতুবদিয়া উপকূল হতে ৬/৭ কিলো মিটার সিমানায় বঙ্গোপ সাগর এলাকায় পূর্ব পুরুষের পেশা মাছধরে জীবন-জীবিকা চালানো। কিন্তু সম্প্রতি বহিরাগত জেলেদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কুতুবদিয়ার জেলেরা। বহিরাগত চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী ও আনোয়ারা এলাকার সংঘবদ্ধ জেলেরা একই এলাকায় খুঁটি দিয়ে দেদারছে বিহেন্দী ও টংজাল বসানোর কারণে দুই জেলার জেলেদের মধ্যে সৃষ্টি হয় চরম উত্তেজনা। যার ফলস্বরূপ বিহেন্দী ও টংজালের খুটিতে পড়ে বিনষ্ট হয়েছে কুতুবদিয়ার বহু জেলেদের ভাসমান ইলিশ, হোন্দারা, কট ও মাইট্টাজাল। এমনকি বিগত ১০ দিনে ৪/৫ কোটি টাকার জাল নষ্ট হয়েছে বলে দেড়শতাধিক ক্ষুদ্র জেলেদের অভিযোগে জানা গেছে। বাঁশখালীর শেখেরকিল হতে বরফ ক্রয় ও আনোয়ারা এলাকা হয়ে চট্টগ্রাম শহরে যেতে হয় বলে ওসব এলাকার জেলেদের যতসব জুলুম-অত্যাচারকে নিরবে সহ্য করতে হচ্ছে কুতুবদিয়ার স্থানীয় জেলেদের। অভিযোগ উঠেছে ক্ষতিগ্রস্ত বড়ঘোপের প্রান্তিক জেলে মকসুদুল হক, দেলোয়ার হোছাইন, মুহাম্মদ রমিজ, ইসহাক মাঝি, সাদ্দাম হোছাইন, জাকারিয়া কোম্পানী, লেয়াকত আলী কোম্পানী, নাজের মাঝি, কালু কোম্পানী, শাহ আলম, আনোয়ার হোছাইন, নুরুল হুদা কোম্পানী, উত্তর ধূরুংয়ের মাহমুদুল করিম, আবদুল মোনাফ ও আবদুল করিমসহ অনেকে। বিষয়ে আন্ত:জেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ দাবী করেন কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী, বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম.শহীদ উদ্দিন ছোটন, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ ও উত্তর ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী।
রিপোর্ট:মোহাম্মদ সাজেদুল হোছাইন টিটু,কক্সবাজার।