করোনা রোগীর সেবা দূরের কথা কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলছে নানা অব্যবস্থাপনা। এখানে করোনায় আক্রান্তরা নমুনা দিতে এলে অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। এছাড়াও নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্যবিধি পালনের ব্যবস্থা।
প্রতিদিন ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের করোনা কর্ণারে কুষ্টিয়া সহ আরো ৪টি জেলার মানুষ আসছেন করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে। নমুনা দিতে আসা রোগীদের ভিড় থাকে বেশিরভাগ সময়েই। সরেজমিনে দেখা যায়, নমুনা দিতে আসা রোগীদের মাঝে নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব, এ নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের অভিযোগ সময় মতো সেবা পাওয়া যাচ্ছে না করোনা কর্ণারে। উল্টো নমুনা দিতে এসে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়।
রোগীরা অভিযোগ করেন, সিরিয়াল ম্যান্টেন করা হচ্ছে না, যারা আগে আসছে তারা অনেক পরে সিরিয়াল পাচ্ছে। ৩ ফিট যে দূরত্বে থাকার কথা সে দূরত্ব ম্যান্টেন করে কেউ চলতেছে না এখানে। নমুনা দেওয়ার সময় অন্তত পঞ্চাশ জন একই যায়গায় পিঠের উপর পিঠ দিয়ে দাড়ায়ে আছে।
অন্যদিকে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তারাও পাচ্ছেন না কোনো সেবা। ভুল চিকিৎসা, সব ধরনের রোগী এক ওয়ার্ডে এবং করোনা ওয়ার্ডে কোনো ডাক্তার বা নার্স না আসার অভিযোগ রোগীদের মুখে মুখে।
এক রোগী বলেন, ‘কারো যদি করোনা নাও হয়, করোনা রোগী যদি এখানে থাকে তাহলে তো তারও করোনা হয়ে যাবে। এটাতো ঠিক না, তাই না! আমাদের তো অন্যরকম একটা চিকিৎসা পাওয়ার কথা ছিল, যেখানে আমরা এখানে কিছুই পাচ্ছি না।’
এমন অব্যবস্থাপনার জন্য জায়গা এবং জনবল সঙ্কটকে দায়ী করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. তাপস কুমার সরকার বলেন, আমাদের সাধারন রোগীদের জন্য যে ওয়ার্ডগুলো আছে সেটিকে আমরা সংকুচিত করে ওই গুলো খালি করে আমাদের আবার করোনা রোগীদের জন্য নতুন করে আরেকটি ওয়ার্ড চালু করতে হবে।
সহকারী পরিচালক ড. নুরুন নাহার বেগম বলেন, এখানে জনবলের খুবই ঘাটতি। লোক না থাকার কারনে রোগীদের ভিড় নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন কুষ্টিয়ায় গড়ে ৭০-৯০ জন করোনা রোগী সনাক্ত হচ্ছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২১৪৫ জন। মৃত্য হয়েছে ৪৪ জনের।