স্মল ক্যারি-অন ইম্পেক্টর (এসসিআই) নামের ১৪ কেজির ওই বিস্ফোরক রিয়ুগু গ্রহাণুতে ১০ মিটার প্রশস্ত একটি কৃত্রিম গর্ত তৈরি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের কয়েক সপ্তাহ পর হায়াবুসা-২ গ্রহাণুটি থেকে গবেষণার জন্য নমুনা সংগ্রহ করবে।
এসব নমুনা থেকে সৌরমণ্ডলের প্রাথমিক অবস্থায় পৃথিবী কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে সে সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যাবে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।
মহাশূন্যে জাপানের এ পরীক্ষাটি সফল হয়েছে কিনা তা চলতি মাসের শেষ দিকে জানা যাবে, বলছে কিয়োডো নিউজ।
বিস্ফোরণের আগে রিয়ুগুর পৃষ্ঠ থেকে ৫০০ মিটার উপরে শুক্রবার হায়াবুসা-২ থেকে সফলভাবে এসসিআইকে আলাদা করা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিস্ফোরণ সংঘটনের আগেই জাপানি মহাকাশযানটি রিয়ুগুর অপর পৃষ্ঠে চলে যাবে। বিস্ফোরণের পর গ্রহাণুটি থেকে ছিটকে আসা পাথর ও অন্যান্য পদার্থ যেন হায়াবুসির ক্ষতি না করতে পারে সেজন্যই তাকে লুকিয়ে রাখার এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের এ মুহুর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করতে গ্রহাণুটির এক কিলোমিটার দূরে একটি ছোট ডিসিএএম-৩ ক্যামেরাও বসিয়েছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (জাক্সা)।
ছবিগুলো পৃথিবীতে পাঠাতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিকল্পনামাফিক সবকিছু চললে বিস্ফোরণের কয়েক সপ্তাহ পর হায়াবুসা-২ ফের রিয়ুগু থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে নামবে।
এসব নমুনা সৌরজগতের প্রথম দিকে কী করে গ্রহগুলো সৃষ্টি হয়েছিল সে সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম