আবু হুরায়রা রাসেল যশোর জেলা প্রতিনিধি:
কেশবপুরে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামে চলছে লক ডাউন। কিছু ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে একাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে কেশবপুর পৌরসভার বাজিতপুর, সরফরাবাদ, হাবাসপোল,মধ্যকুল , শহরের অনন্ত সড়কের দু‘পার্শে সাহা পাড়া, ইউনিয়নের মধ্য কাস্তা উত্তর পাড়া, কৃষ্ণনগর সারুটিয়া , বালিয়াডাঙ্গা , বাগডাঙ্গা , মনোরনগর, ছোট মান্দারডাঙ্গা,নেপাকাঠি গ্রামের বাসিন্দারা বহিরাগতদের আগমন বন্ধে এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে তারা জানান। তাছাড়া সড়কের প্রবেশ মুখে বাঁশ বেঁধে ও কাঠের গুড়ি ফেলে লক ডাউন লেখা সম্বলিত পোষ্টার টানিয়ে দেয়া সহ সেখানে ও সাবান পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও গ্রামে ঢুকতেই জীবণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে শরীরে। চিংড়া, কোমরপোল, সাগরদাঁড়ি ,কেশনগর, ধানদিয়া ,জয়নগর ও গোপসেনা মালো পাড়া খেয়াঘাটে লক ডাউন করা হয়েছে। কাস্তা গ্রামের মাষ্টার গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী এলাকার জনগণ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তারপরও বাইরের ও অন্য গ্রামের মানুষ যাতে গ্রামে ও পাড়া মহল্লায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে আমরা বাঁশ ও কাঠের গুড়ি দিয়ে লক ডাউনের ব্যবস্থা করেছি। পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল জানান পাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের যে সকল গ্রামবাসি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্ব উদ্যোগে এ ধরনের কাজ করেছে তাদের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর ইসলাম মুক্ত জানান, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কপোতাক্ষ নদ হওয়ায় বহিরাগতরা যাতে সাগরদাঁড়ি এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য খেয়াঘাটগুলো লক ডাউন করা হয়েছে। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম জানান, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌরবাসীকে নিরাপদে রাখতে লক ডাউনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এক মাত্র সরকারি নির্দেশে প্রশাসন লক ডাউন করতে পারে। তাছাড়া এ ধরনের কাজ করতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি জানান।