যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর কেশবপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীতে বাঁধ দিয়ে নদী খননেন কাজ চলছে। তাই এবছর অল্প বৃষ্টিতে কেশবপুর পৌরসভার নিম্নাঞ্চাল গুলো প্লাবিত হচ্ছে। তাই অনেক দিন থেকে এলাকার মানুষের দাবী ছিল বৃষ্টির আগে বাঁধ সরানোর। এবিষয়ে একাধিবার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার কথা হলে তারা জানান ১৫ জুলাই বাঁধ সরানো হবে। গত ২২ জুলাই হরিহর নদীর বাঁধ সরালেও বুড়িভদ্রা(পাচারেই প্রাইমারী স্কুলের সংলগ্ন) নদীর বাঁধ থেকে গেছে। ফলে সমস্যা যা থাকার তাই থেকেই গেছে।
আগের টানা বৃষ্টির ফলে কেশবপুর পৌরসভার অধিকাংশ চাষ জমি প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে হরিহর নদী ও বুড়িভদ্রা নদীর দু’কুল প্লাবিত হওয়ায় শত শত বিঘা জমির পাট নষ্ট আবার কোথায় ধানের জমি নষ্ট। কেশবপুর পৌরসভার সাবদিয়ার গ্রামের পাট চাষি হাফিজুর জানান পাট প্রায় কাটার মত হয়েছে। আর ১৫-২০ দিনে পরে পাট কাঁটতেন তিনি। কিন্তু পানির কারনে পাট গাছ আর বৃদ্ধি পাবে না । ফলে জমিতে এই পাট নষ্ট হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর উপজেলায় ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। মৌসুমের শুরুতেই আগাম বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা উঁচু জমির পাশাপাশি নিচু জমিতে পাটের আবাদ করায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪শ’ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির পানির কারনে মৌসুমে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয়সহ কৃযকরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।
অনেকের নতুন ধানের বীজ তলা তলিয়ে গেছে পানিতে। অনেক ধান গাছ পানির মধ্যে। পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কেশবপুর পৌরসভার ভবানীপুর, নোনা মাঠ, হাবাসপোল ইদগাহ মাঠ, হাবাসপোল প্রাইমারী স্কুলের মাঠ, বায়সা-কালাবাসা নতুন ব্রিজের মাঠ, সাবদিয়া-বায়সা মাঠ, আলতাপোল বাজার অংশে টিএন্ডটি পাশের বিল, ব্রাক অফিসের পাশের বিল, আলতাপোল ৫নং ওয়ার্ডের কাজী পাড়া, গাজী পাড়ার বিল ও গোলাঘাটা-আলতাপোল বিল পানিতে ডুবে গেছে।
কোথাও পাটের আবাদ , আবার কোথাও ধানের আবার কোথাও নতুন করে জমি তৈরি করা হচ্ছে। তাই এ অঞ্চলের মানুষের দাবী তাড়াতাড়ি বুড়িভদ্রা নদীর বাঁধ সরানোর।