প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মফল ভোগ করবে: আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎকে মিথ্যা মনে করেছে। এমনকি, যখন কিয়ামত তাদের কাছে অকস্মাৎ এসে যাবে, তারা বলবে- হায় আফসোস, এর ব্যাপারে আমরা কতই না ক্রটি করেছি। তার তারা নিজের বোঝা নিজের পিঠে বহন করবে। শুনে রাখ, তারা যে বোঝা বহন করবে, তা নিকৃষ্টতর বোঝা।’ (সূরা আনআম : ৩১)
শিক্ষা
১. পৃথিবীতে মানুষ আল্লাহকে দেখতে পায় না ঠিক, কিন্তু পরকালে প্রত্যেকেই স্বচোক্ষে আল্লাহকে দেখতে পাবে। যারা এ কথা বিশ্বাস করবে তারা পরকালে সফল হবে। আর যারা বিশ্বাস করবে না তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২. পৃথিবী এক দিন হঠাৎ ধ্বংস হয়ে যাবে। কেয়ামত এসে গেলে সবার চোখ খুলে যাবে এবং অবিশ্বাসের কারণে আফসোস করবে। কিন্তু সেই আফসোস কোনো কাজে আসবে না।
৩. পরকালে প্রত্যেককেই নিজ নিজ কর্মফল বহন করতে হবে। কেই অন্যের ফল বহন করবে না। যারা ভালো করবে তাদের পিঠের বোঝা ভালো হবে। আর যারা খারাপ করবে তাদের বোঝাও খারাপ হবে। আর মন্দ লোকদের পরিণামই মন্দ হবে।
আল্লাহ মানুষের নিয়ত দেখেন: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না, বরং তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।’ (মুসলিম : ২৫৬৪)
শিক্ষা
১. আল্লাহর কাছে বান্দার বাহ্যিক অবয়ব ও অবস্থার চেয়ে অন্তরের নিয়ত ও অবস্থার মূল্য বেশি।
২. যখন যে আমল করি না কেন, তা যেন রিয়ামুক্ত হয়, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হয়।
৩. অন্য হাদিসে এসেছে, পরিশুদ্ধ নিয়তে অল্প আমলই আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। (বায়হাকি : ৬৪৪৩)। তাই আমল কম হোক বা বেশি নিয়ত পরিশুদ্ধ হওয়া চাই।