নিজস্ব প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, ‘নভেম্বর মাস জুম্ম জনগণের একটি হৃদয় বিদারক দিন। এই দিনে বিভেদপন্থীরা মহান নেতাকে হত্যা করেছিলো। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায় চোখের সামনে নিজের ভিটে-মাটি কেড়ে নেয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছে, তার পরেও জুম্ম জনগণ আন্দোলনে আসতে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন।’
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি আয়োজিত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘এমএন লারমার মধ্যে দূরদর্শী চিন্তা ছিলো বিধেয় ঘুমন্ত জুম্ম জনগণকে জাগিয়ে আন্দোলনমুখী করেছিলেন। এমএন লারমা ছিলেন আজীবন ত্যাগী, সংগ্রামী, সৎ, নিষ্ঠাবান, আদর্শবান বিপ্লবী নেতা। কুচক্রিরা সেদিন লারমাকে দেশীয় এবং বিদেশী চক্রান্ত ফলে হত্যা করেছিলো ঠিকই কিন্তুু লারমার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। জুম্ম জনগণের মধ্যে ভুল চিন্তাধারা থাকলে আন্দোলন এগিয়ে নেয়া যায় না।
’ আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মনি চাকমার সঞ্চালনায় এবং সদস্য নতুনমালা চাকমার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য মাধবীলতা চাকমা। সভার প্রধান আলোচক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থোয়াইক্যজাই চাক, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য সোনারিতা চাকমা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাধবীলতা চাকমা বলেন, এমএন লারমা ছিলেন একজন সৎ, সাহসী, ধৈর্যশীল, প্রকৃতি প্রেমী মানুষ। সকলের মধ্যে শিক্ষা, ক্ষমা, পরিবর্তনের গুণাবলী থাকতে হবে। নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠাকল্পে ত্যাগের মহিমায় সামনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার আর্দশকে ধারণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।