1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

খাদের কিনারায় মার্কিন অর্থনীতি

  • Update Time : শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০
  • ২১১ Time View

প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৩২.৯ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক পরিসংখ্যানের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই সবেচেয়ে বড় সংকোচন। করোনাভাইরাসের প্রভাবেই এই ঐতিহাসিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা এরইমধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি এ ভাইরাসের প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির উপরও। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির মোট জিডিপি কমবে প্রায় ৪.৯ ভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন এ তিন মাসে দেশটির অর্থনীতির আকার কমেছে ১০.১ শতাংশ। ১৯৭০ সালের পর দেশটির জিডিপি কখনও এতোটা কমেনি বলে উৎকণ্ঠায় দেশটির সরকার।

আর একইপথে এবার মার্কিন অর্থনীতিও। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তাদের অর্থনীতির উপর করোনার থাবার আলামত দেখা দিতে শুরু করেছে। আগের বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসের তুলনায় এ বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসের প্রবৃদ্ধি রেকর্ড হারে কমেছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে মার্চ মাসজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির একটা বড় অংশে লকডাউন ছিলো। আর তারই প্রভাব পড়তে দেখা গেছে এপ্রিল, মে, জুন মাসে। ১৯৪৫ সাল থেকে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর এটাই কোনও অর্থনৈতিক পর্বের সব থেকে বড় জিডিপি সংকোচন।

এর আগে ২০০৮ সালের মন্দার সময় এপ্রিল থেকে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির হার ৮.৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। তার আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৫৮ সালের। তখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ কমে গিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জ্যাসন রিড বলেন, ‘এটি এমন এক ঘটনা যা আমরা আগে কখনও দেখিনি। প্রথমে আমরা মনে হয়েছিলো এটি এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় যা একই সময়ে গোটা দেশকে আঘাত করেছে। কিন্তু এখন তারচেয়েও খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে।’

করোনার প্রভাবে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে দুই কোটিরও বেশি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। চাকরি হারানোর এই রেকর্ড ছিল ১৯৩০ সালের পর সর্বোচ্চ। বেকার মানুষদের সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেক আবেদন জমা পড়ছে। শুরুর দিকে চাকরি হারানো মানুষদের সপ্তাহে ৬’শ ডলার সুবিধা ভাতা দেয় ওয়াশিংটন। তবে শুক্রবার এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..