দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিট দিয়ে পরীক্ষা করেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
মঙ্গলবার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আশু রোগমুক্তি কামনায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
বিবৃতিতে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, নিজের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের পরীক্ষায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার শরীরে করোনার লক্ষণও (জ্বর) আছে।
‘আমরা আশা করি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসুস্থতা মৃদু উপসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। কিন্তু এই রোগ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা আমরা সারা পৃথিবীতে এবং এই দেশেও দেখছি। তার বয়স এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা বিবেচনায় নিলে তিনি নিশ্চিতভাবেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর হিসাবেই চিহ্নিত হবেন’।
তারা আরো বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা রকম অনিয়ম শুরু থেকে দেখা যাচ্ছে যা এখনো চলছে। আমরা আশা করি তার রোগ জটিল হবে না। কিন্তু তেমন পরিস্থিতি হলে যেন এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট না হয় তাকে চিকিৎসা দিতে। সেটা নিশ্চিত করতে তার জন্য দেশের সর্বোচ্চ মানের হাসপাতালে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এখন পর্যন্ত সর্বস্ব দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া মানুষটির এইটুকু মনোযোগ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রাপ্য।
‘গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনা শনাক্তকরণ কিটের জন্য অনেক বেশি কাজ করে তিনি সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়েছেন, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, সরকার পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে এখনও কিটটি বাজারে আসতে দেয়নি। দেশে সামাজিকভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার এই সময়ে সরকারি টেস্টের চরম অপ্রতুলতার মধ্যে এই কিট জনগণকে খুবই সাহায্য করতে পারত। কিটের পরীক্ষার ফলাফল অতি দ্রুত প্রকাশ করে সেই ব্যাপারে অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আশু রোগমুক্তি কামনা করেন। একই সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অতিতের মতো তার সব প্রয়োজনে তার সাথে থাকবে বলেও জানান তারা।
বিবৃতি দাতারা হলেন- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, ড. আবদুল মঈন খান, মাহামুদুর রহমান মান্না, ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন