আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অনেক গাড়ি চালকদের মাসিক পেট্রোল খরচ বেড়েছে ১০০ পাউন্ড, আবার অনেকের খাবারের খরচ বেড়েছে ১০০ পাউন্ড। যে পোশাক আগে ১৫ পাউন্ডে পাওয়া যেতো তার মূল্য বেড়ে হয়েছে ১৮ পাউন্ড। জীবন যাপানের সাথে সম্পৃক্ত বেশির ভাগ জিনিসেরই মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রিটেনে। করোনাকালীন সময়ে মানুষ যখন অর্থনৈতিক ভাবে সংগ্রাম করছে তখন জাতীয় পরিসংখ্যন ব্যুরো জানালো, ৩০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনে সব থেকে বেশি জীবন-যাপন ব্যয় বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দিনদিন ব্রিটেনের মানুষদের জীবন-যাপন যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সরকার নূন্যতম বেতন বাড়ালেও, জীবন-যাপনের সাথে সম্পৃক্ত বেশি ভাগ জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ কারনে ৩০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনে জীবন যাপনের ব্যয় বৃদ্ধিতে দরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা সংগ্রাম করছে।
জাতীয় পরিসংখ্যন ব্যুরোর হিসেবে, সব থেকে বেশি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে খাদ্য পণ্য ও এনার্জি বিলের। ডিসেম্বের মাসে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। যা তার আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ১ শতাংশ।
পরিসংখ্যন ব্যুরোর হিসেবে, ১৯৯২ সালে দেশটিতে যে অর্থনৈতিক টানাপড়েন ছিলো তা আবার ফিরে এসেছে বর্তমান সময়ে।
এদিকে বর্তমান সময়ে ব্রিটেনের মানুষদের জীবন-যাপনে অতিরিক্ত অর্থ খরচের মাঝেও সরকার আগামী এপ্রিলে আবারও গ্যাস ও ইলেক্ট্রিসিটির মূল্য বৃদ্ধির কথা বলছে। নতুন নিয়মে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বর্তমান সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি গ্যাস ও ইলেক্ট্রিসিটি বিল দিতে হবে বাসা-বাড়িতে।
ব্রিটেনের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগে যেখানে একটি খাবার ১ পাউন্ডে কেনা যেতো, তা এখন কিনতে হচ্ছে ১ পাউন্ড ৫ পেন্সে। তার মানে প্রতিটি পন্যেরই যদি এভাবে মূল্য বৃদ্ধি পায় তাহলে মাস শেষে একজন মানুষকে কমপক্ষে ১০০ পাউন্ড গুনতে হচ্ছে।
আর জেসিকা লেটন নামের এক নারী জানান, তার ফার্ম রয়েছে। তাই তাকে প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় গাড়ি চালাতে হয়। পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধিতে তাকে প্রতি মাসে এখন অতিরিক্ত ১০০ পাউন্ড গুনতে হচ্ছে।
সব মিলিয়ে বর্তমানে বেতন ও জীবন-যাপনের সাথে সামঞ্জস্য করতে পারছে না দেশটির বেশিরভাগ মানুষ।