প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: করোনায় কাঁপছে সারা বিশ্ব। প্রতিদিনই প্রায় হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। আর মারাও যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। কোনো ধরনের ভ্যাকসিন বা ওষুধ এখনো উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। এমন এক পরিস্থিতিতে গবেষকরা বলছেন, হাতের কাছেই হয়ত করোনার মারণ ক্ষমতা কমানোর ওষুধ রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
গবেষকদের দাবি, বিখ্যাত কোলেস্টরল কমানোর ওষুধ ফেনোফাইব্রেটে করোনার মারণ ক্ষমতা কমছে। এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে করোনার সামান্য জ্বরে পরিণত হচ্ছে। যা সহজে সেরে যাচ্ছে। ফলে করোনার মারণ ক্ষমতা কমাতে এই ওষুধ বিশেষভাবে সাহায্য করছে, এ কথা বলাই যায়।
প্রফেসর ইয়াকোভ নাহমিয়াসের দাবি, ক্লিনিক্যাল স্টাডিজের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে। ওষুধের একটি নির্দিষ্ট কোর্স শেষ করলে আক্রান্তদের শরীরে করোনার ঝুঁকি কমে যাচ্ছে। কমছে এই ভাইরাসের মারণ ক্ষমতাও। এই ওষুধ করোনার সংক্রমণকে সাধারণ ঠান্ডা লাগার সমস্যায় পরিণত করছে।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সার্স-কভ-২ ভাইরাসটি ফুসফুসের এক প্রকার ক্ষতি করছে, যে ক্ষতির কারণে ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছে না। সেই জন্যই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে বা কোলেস্টরল রয়েছে, তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আর তাদেরই এই ওষুধ প্রয়োগ করলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমছে।
গবেষকরা বলেছেন, ভাইরাস আসলে পরিজীবী। নিজেরা বংশবিস্তার না করতে পারলেও এরা মানুষের শরীরে কোষের মাধ্যমে নিজের বংশের বিস্তার করে। সার্স-কভ-২ ভাইরাস শরীরে মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যদি এর বিরুদ্ধে লড়তে হয়, তাহলে একে উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। সেই কাজটাই এই ওষুধে করা হবে, দাবি গবেষকদের।