বগুড়া সংবাদদাতাঃ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে । এর ফলে কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে ।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান যে, গাইবান্ধায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
সোমবার ২৯শে জুন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঘুরে দেখা যায় ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনার মোহনায় পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের ফলে এ বছর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দ কামারপাড়া সহ বেশিরভাগ এলাকা সহ যমুনা নদীর পাড়ে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার ৪ উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে৷
ফুলছড়ি থানার ৪ নং গজারিয়া ইউনিয়নের সরকারি ডিগ্রি কলেজ, আলীম মাদ্রাসা ও সংলগ্ন এলাকায় বন্যার প্রকোপ বেশি দেখা গেছে। সরকারি ডিগ্রী কলেজের বাংলার প্রভাষক মোঃ ফজলুল হক জানান যে, গত এক সপ্তাহে তাদের এলাকা সহ নদী সংলগ্ন এলাকায় ৫/৬ ফিট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিগ্রী কলেজ, মাদ্রাসা সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ঘরবাড়ি এখন ২ ফিট পানির নিচে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।