ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় এক ইউপি সদস্যয়ের বিরুদ্ধে চোরাই ছাগল খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ছাগল মালিক সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ জানান।
ছাগল মালিক ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে একদল চোর তার বসত বাড়ি থেকে ছাগল চুরি করে নেওয়ার পথে মধ্যরাতে ছাগলসহ চোরদেরকে আটক করেন রাজাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলালসহ স্থানীয়রা।
আটকের পর চোরদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সে সাথে চোরদলের বহন করা একটি অটোরিকশা ও একটি ছাগল উদ্ধার করেন মেম্বার সহজ দেশ রত্ন শেখ হাসিনা মহা বিদ্যালয়ের এক প্রভাষক । অটোরিকশা ড্রাইভারকে রিক্সা দিলেও ছাগল নিয়ে মেম্বার অনেক তাল বাহানার পর ছাগলটি ফিরিয়ে না দিয়ে খেয়ে ফেলেন।
ছাগলের মালিক সাদ্দাম হোসেন আরো জানান, রাতে ঘটনা ঘটার পর সকালে আমরা মেম্বারের কাছে আসি। মেম্বার আমাদেরকে ছাগল আছে বলে আশ্বাস করে ফাঁড়িতে গিয়ে চোরকে দেখে মিলন মেম্বারের ভাইকে নিয়ে এসে ছাগল নিতে বলেন।
আমরা চোর দেখে মিলন মেম্বারের ভাই আল-ইসলামকে নিয়ে উক্ত হেলাল মেম্বারের কাছে এসে সারাদিন অপেক্ষা করার পরে রাত্রে হেলাল মেম্বার বলেন ছাগল খেয়ে ফেলেছি। অনুসন্ধনে জানা যায় ঐ রাতেই একই এলাকার বাসিন্দা মাইদুল ইসলাম এর বাড়িতে চোরাই কৃত ছাগল জবাই করে খাওয়া হয়েছে বলে পাওয়া যায়। এদিকে ছাগল নাপাওয়ায় আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি বলে জানান সাদ্দাম।
এব্যাপারে হেলাল মেম্বারের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি চোর অটোরিকশা ও ছাগল উদ্ধার করি। চোরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। ফাঁড়ির ইনচার্জ কে জানিয়ে রিক্সার মালিককে রিক্সা দিয়েছি। ছাগলের মালিক আসতে দেরি করায় ছাগলটি খেয়ে ফেলেছি।
অপরদিকে ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন কুমার শীল এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, মেম্বার আমাকে চোর ও অটোরিকশার বিষয়ে জানিয়েছেন কিন্ত ছাগলের বিষয়ে কিছুই জানাননি জানালে আমি প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নিতাম তবে ছাগলও ছিল মর্মে আমি কিছুই জানি না।