রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধান:
বগুড়ায় জামায়াত কর্মী মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর আওয়ামী লীগের ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানায় এ মামলা করা হয়। মামলার বাদি নিহত মিজানুরের বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান।
জানা যায়, নিহত মিজানুর রহমান কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরকারবাড়ী গ্রামের আবু কালাম সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়ায় মুরগির হ্যাচারিতে চাকরি করতেন এবং থাকতেন পৌরসভার সাবগ্রাম মাস্টারপাড়ায়।
এই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, দফতর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজী জুয়েল, বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বেলা পৌনে একটার দিকে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম কমান্ড প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিজানুর রহমান। এ সময় আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিজানুরকে ঘিরে ধরেন। ১ নম্বর আসামি আল রাজি জুয়েলের হুকুমে ৫ নম্বর আসামি সম্পদ পশারী হত্যার উদ্দেশে বার্মিজ চাকু দিয়ে মিজানুরের পেটে আঘাত করেন। পরে ৬ নম্বর আসামি সঞ্জু সরকার হত্যার উদ্দেশে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। অন্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তারা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে মিজানুর হত্যাকাণ্ডের সময় তার বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান সাথে ছিলেন। তাই তিনি ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।