চট্রগ্রাম সংবাদদাতা:নিজের নামে কাটা ট্রেনের টিকেট কারো কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করলে তিন মাস পর্যন্ত জেল ও জরিমানার শাস্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে হুঁশিয়ার করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া অন্যের টিকিট ব্যবহার করলে, কিংবা ব্যবহার করার চেষ্টা করলে ওই টিকেটের ভাড়ার সমান টাকা জরিমানা হিসেবে আদায় করা হবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় এসব আইন মনে করিয়ে দিয়ে অন-লাইন বা মোবাইল অ্যাপে নিজে টিকেট কেটে রেলভ্রমণ করতে সবাইকে উৎসাহ দিয়েছে। পাশাপাশি অন্যের নামে কেনা টিকেটে রেলভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশের আইন অনুযায়ী ট্রেন ভ্রমণের জন্য কেনা টিকেট, রিটার্ন টিকেট অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদী টিকেট হস্তান্তরযোগ্য নয়। যে ব্যক্তি বা যাত্রীর ভ্রমণের জন্য টিকেট দেওয়া হবে সেই ব্যক্তি এবং তাতে সুনির্দিষ্টভাবে যেসব স্থানে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে সেই স্থানগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে।
টিকেট কালোবাজারি বন্ধে নতুন যে নিয়ম বাংলাদেশ রেলওয়ে করেছে, তাতে এনআইডির তথ্য মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই টিকেট কাটা যাবে। আর একজনের নামে কেনা টিকিটে অন্যজন ভ্রমণ করতে পারবেন না।
বর্তমানে অ্যাপের মাধ্যমে যারা আগে থেকে নিবন্ধিত আছেন, নতুন নিয়ম চালুর পর তারা সঠিক হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে যাবেন।
নিবন্ধিত যাত্রী নিজের নামে বা ভ্রমণসঙ্গীদের নামে চারটি পর্যন্ত টিকেট কাটতে পারবেন। যিনি টিকেট কাটবেন বা যার নামে কাটা হবে তার উপস্থিতিতেই রেল ভ্রমণ সম্ভব হবে, কারণ টিকেট চেকারের কাছে একটি স্মার্টফোন বা ট্যাব থাকবে।
আর বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ার কারণে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের ক্ষেত্রে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে টিকেট বিক্রির একটি পরিকল্পনা রয়েছে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর এর আগে জানিয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় দেশে সাধারণ ছুটির পর গত ৩১ মে আট জোড়া এবং ৩ জুন আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালু হয়।
এর ১৭ দিনের মাথায় যাত্রী সঙ্কটে দুটি রুটের ট্রেন সাময়িক স্থগিত করে রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ১৭ জোড়া ট্রেন অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করছে। সে সময় থেকে শুধুমাত্র অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট বিক্রি হচ্ছে।
ইতিমধ্যে আগামী ১৫ অগাস্টের পর পর্যায়ক্রমে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাকি ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।