ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ পকেট খরচের জন্য নিজের পালিত একটি খাসি ছাগল বাজারে বিক্রি করে দেওয়ায় শফিরুল ইসলাম নামে এক ছেলে নিজের পিতাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। নির্যাতিত পিতা এখন বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অভিযোগটি থানায় মার্ক করে পাঠানোর কথা বললেও বিষয়টি ওসির নলেজে নেই । ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের নন্দগাঁও (খাকরতলা) গ্রামের আব্দুল রহিম অন্যের বাড়িতে কাজ কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতো। বাকি সময় ছেলের সংসারে কাজ কর্ম করে আসছিল। কিন্তু পুত্র শফিরুল তার পিতাকে কোনদিন কোন পকেট খরচের জন্য টাকা পয়সা দিতো না। এদিকে করোনা কালে কাজ কর্ম না থাকায় পিতা আব্দুর রহিম তার পালিত একটি খাসি বাজারে বিক্রি করে দেয়।
এ কথা জানতে পেরে ছেলে শফিরুল তার পিতার কাছ থেকে সমুদয় টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে ছাগল বিক্রির টাকা থেকে ২/৩ শ টাকা চাইলে ছেলে তা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে পিতাপুত্রের মাঝে বচসা(কলহ) সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বখাটে পুত্র তার পিতাকে মারধর করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অপমানিত হওয়ায় পিতা আব্দুর রহিম আর বাড়িতে ফিরেননি। এমনকি ছেলে শফিরুলও তার পিতাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়নি। উপয়ান্তর না পেয়ে তিনি তার ভাতিজা আব্দুল মালেকের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন।
এদিকে শনিবার সকালে পিতা রহিম, ছেলের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় পিতা আব্দুর রহিম বর্তমানে বাড়ির বাইরেই অবস্থান করছেন।
নির্যাতিত আব্দুর রহিম বলেন, আমার বাড়ি আমার ঘর। কিন্তু আমাকেই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ছেলে৷ এর আগেও কয়েক বার আমাকে মারপিট করেছে ৷ পান থেকে চুন খসলেই আমাকে মারধর করে। এ ব্যাপারে আমগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান পাভেল তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি ।পিতাকে মারপিটকারী ছেলে একজন বখাটে প্রকৃতির। তার উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া উচিত। নইলে সমাজে এ ধারা চলতে থাকলে সমাজের জন্য খুব খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরী হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম সাহেব বলেন, আমি অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশনা দিয়েছি। কাজেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, “এরকম কোন ঘটনা আমার নলেজে নেই। আমার কাছে অভিযোগ এলে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিতাম।”
রিপোর্টঃ বদরুল ইসলাম বিপ্লব