বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: দেশে করোনার ভ্যাকসিন আসায় ঠাকুরগাঁওয়ে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষন এবং প্রয়োগে সর্বপ্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করেছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন। ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই ভবনের ১০টি ফ্রিজের মধ্যে ২টি ফ্রিজ ফাঁকা করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।ভ্যাকসিন এলেই সেখানে যথানিয়মে সংরক্ষন করা হবে ।
এছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ৬ সদস্যের ভ্যাকসিনেটর টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন চিকিৎসক করোনার টিকা প্রয়োগ বিষয়ে প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন। তারা ফিরে এলে অন্যান্যদের প্রশিক্ষন দেওয়া হবে।
সিভির সার্জন অফিসের স্টোর কীপার হেলাল উদ্দীন জানান, ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই সেন্টারে ১০টি ফ্রিজ রয়েছে। এদের মধ্যে ২টি ফ্রিজ থেকে রুটিন ভেকসিন সরিয়ে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ২টি ফ্রিজ করোনার ভেকসিন সংরক্ষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিসের অপর কর্মচারী বদরুজ্জামান লেমন জানান, এখানে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষনে কোন সমস্যা হবে না। যথারীতি সকাল বিকেল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হবে। তারপরও জেলায় ৭টি ভ্যাকসিনের চাহিদা পাঠানো হয়। ঢাকা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রুটিন ভ্যাকসিনের পাশাপাশি করোনর ভ্যাকসিন সংরক্ষনের। তারপরও চাহিদা অনুযায়ী ফ্রিজ এলে ভাল হয়।
সিভিল সার্জন ড.মাহফুজার রহমান সরকার জানান, করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষনর জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ের যে স্টোর রয়েছে তার মধ্যে ২টি আইএলআর ফ্রিজ প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে প্রাপ্ত ভ্যাকসিন সমূহ রাখতে পারব। উপজেলা পর্যায়েও একটি করে আইএলআর ফ্রিজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।কাজেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সংরক্ষনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। তারপরও ৭টি নতুন ফ্রীজের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন এলে যাতে তা সংরক্ষনে অসুবিধা না হয়।এখন যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসার কথা তা সংরক্ষনে কোন সমস্যা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ৬ সদস্যের টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। ২জন ভ্যাকসিন পুশ করবেন। ৪ জন থাকবেন স্বেচ্ছাসেবি। তাদের প্রশিক্ষন খুব শীঘ্রই শুরু হবে। সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালে প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিনেটর কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তা ইউনিয়ন পর্যায়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫০২ জন। যাদের মধ্যে ১৪০৬ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। মারা গেছে ২৯ জন।