বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদরের ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অখিল চন্দ্র বর্মনের মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ আপিল শুনানীতে বহাল হয়নি। ঋণখেলাপির অভিযোগে গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই কালে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার শরিফুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাযালয়ে আপিল করেন অখিল চন্দ্র বর্মন।
রবিবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আপিল শুনানী শেষে পূর্বের বাতিল আদেশ বহাল রাখে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম। এরফলে অখিল চন্দ্র বর্মন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের যোগ্যতা হারালেন। এ অবস্থায় ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকলেন মাত্র ২ জন। বিএনপি সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও প্রথম পর্যায়ে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নির্মল।
গত ২১ নভেম্বর ঢোলারহাট ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় নৌকার প্রতীক পান বর্তমান চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে জিআর চাল আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা থাকায় ২৪ নভেম্বর বিকেলে তার মনোনয়ন বাতিল করে অখিল চন্দ্র বর্মনকে দলীয় মনোনয়ন দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন পর্যন্ত ঢোলারহাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন ৩ জন। তন্মধ্যে যাচাই বাছাই কালে নৌকার মনোনীত প্রার্থী অখিল চন্দ্র বর্মনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। প্রার্থী অখিল চন্দ্র বর্মন ২০১৪ সালে ঠাকুরগাও জেলার জনতা ব্যাংক লি: রুহিয়া শাখা হতে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ঋণ পরিশোধ করেন নি। ২৮ নভেম্বর তিনি সুদাসল সহ প্রায় ৯৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: সফিকুল ইসলাম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে ঋণ পরিশোধ না করায় রিটার্নিং অফিসার অখিল চন্দ্র বর্মনের মনোনয়ন বাতিল করে। আপিল শুনানীতে তিনি উপযুক্ত কারণ ব্যাখা করতে না পারায় আপিল শুনানীতে পুর্বের আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ইচ্ছে করলে মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে।
এ ব্যাপারে মনোনয়ন বাতিল হওয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অখিল চন্দ্র বর্মন জানান, আমি ব্যাংক ঋনের টাকা ইতোমধ্যে পরিশোধ করেছি। রিটার্নিং অফিসার আমার মনোনয়ন বাতিল করায় আমি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সুবিচার পাইনি।তাই আমি মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।
এদিকে ৩০ নভেম্বর সীমান্ত কুমার বর্মনকে দুদকের মামলা হতে অব্যাহতি দিয়েছে স্পেশাল আদালত আমুলি আদালত। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের ওই মামলায় চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করায় আদালত ওই রিপোর্ট গ্রহন করে মামলার সকল আসামীকে অব্যাহতি প্রদান করেন। সেই সাথে মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেয়।