1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ডিবি হারুনের শতকোটি টাকার ক্যাশিয়ার

  • Update Time : বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪৫ Time View

ডিএমপি’র সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের ব্যাংক হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মোকাররম সর্দার। গত ২১শে মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ডিবি হারুন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশকে ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে তাকে জিতিয়ে আনেন। নির্বাচনের সময় সেটি ছিল ওপেন সিক্রেট। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরপরই তিনি ঢাকায় গিয়ে হারুনের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোকাররম সর্দারের মাধ্যমেই হারুনের টাকায় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে অত্যাধুনিক অটো রাইস মিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের নানশ্রী গ্রামে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়ক সংলগ্ন এলাকায় অটো রাইস মিলটি তৈরি করা হয়েছে। ডিএমপি’র তেজগাঁও জোনের ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ২০২১ সালের ২২শে জানুয়ারি নির্মাণাধীন মিলটি হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শনে যান হারুন। দুই একর জায়গার উপর তৈরি করা জেলার সর্ববৃহৎ এ অটো রাইস মিলটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়নি। দৈনিক ১০০ টন ধান মিলটিতে প্রক্রিয়াজাত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

১০০ একর জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে একটি এগ্রো প্রজেক্ট গড়ে তোলারও পরিকল্পনা করেছিলেন হারুন।

সূত্র জানায়, মোকাররম সর্দারের বাবা নূরুল ইসলাম ভাগ্যান্বেষণে নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকায় যান। সেখানে তিনি বড় ছেলে মোকাররমকে সাথে নিয়ে তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। এক সময় মোকাররম লোড-আনলোড শ্রমিক হিসেবে নাম লেখান। এরপর লোড-আনলোডের শ্রমিকদের সর্দার হন তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় কয়েকটি কোম্পানি জাহাজের মালামাল রেখে চলে যায়। ফতুল্লার এক শ্রমিক লীগ নেতার সহযোগিতায় সেসব জাহাজের মালামাল লুট করে প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক হন মোকাররম। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হারুন নারায়ণগঞ্জের এসপি হয়ে সেখানে গেলে মোকাররম সর্দার তার আশীর্বাদ লাভ করেন। সেখানে মোকাররম সর্দারের মাধ্যমে হারুন পাথর ও কয়লার ব্যবসার পাশাপাশি জাহাজের পণ্য চোরাইয়ের সিণ্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসব থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হন হারুন।

এছাড়া অবৈধ বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছ থেকে হারুনের হয়ে বিপুল অঙ্কের চাঁদা আদায় করতেন মোকাররম সর্দার। এসব অর্থের একটা বড় অংশ রাখা হতো মোকাররম সর্দারের কাছে। হারুনের এসব টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় খাটাতেন মোকাররম। নিজ জেলার কিশোরগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় মোকাররম সর্দারের মাধ্যমে নামে-বেনামে অন্তত ৭টি ইটভাটা রয়েছে হারুনের। এর বাইরে জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় কয়লা সরবরাহের অন্তত শত কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে।

সম্প্রতি মোকাররম সর্দারের মাধ্যমে হারুনের উপর একটি সিনেমা বানানোর প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছিলো। সিনেমাটির নাম দেয়া হয়েছিলো ‘হাওরের মানিক’। সেখানে পুলিশ অফিসার হারুনকে হাওরের মানিক হিসেবে চিত্রায়িত করার কথা ছিলো। এসব বিষয়ে মোকাররম সর্দার মানবজমিনকে বলেন, পাশাপাশি উপজেলার মানুষ হিসেবে হারুন সাহেবের সাথে আমার সুসম্পর্ক। এর বাইরে তার সাথে আমার কোন ব্যবসা-বাণিজ্য নেই।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..