ওয়েব ডেস্ক: জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি ও রাজশাহী-চট্টগ্রামে ছাত্র জোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে পৃথকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসব সমাবেশ হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ওই দুই হামলা চালিয়েছেন অভিযোগ করে তাদের গ্রেপ্তার দাবি করা হয় এসব সমাবেশ থেকে।
ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এ সমাবেশ আয়োজন করে।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, আমরা এখানে দুটি কারণে দাঁড়িয়েছি। একটি হচ্ছে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে আমাদের বন্ধুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুলকে তার যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে, তা পরিষ্কার না করে সরকারের যারা কর্তাব্যক্তি আছেন, তারা এটিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হিসেবে বিবেচনা করছেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ অভিযোগ করেন, গত বুধবার ছাত্র ফ্রন্টের স্কুলবিষয়ক সম্পাদক বিশ্বজিৎ নন্দী রাতে বাসায় ফেরার সময় শিবিরের সন্ত্রাসীরা ‘মব’ সৃষ্টি করে তাকে আটকে রাখে। পরে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে পুলিশ। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ছাত্র ফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘সেই পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমরা ধিক্কার জানাই। আমাকে আটকে রাখা হয় শুধুমাত্র আজহারকে রাজাকার সাব্যস্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে।’
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন শুভ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধকারী আলবদর বাহিনীর নেতাকে মুক্ত করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে দেশব্যাপী একাত্তরের পক্ষের শক্তি আন্দোলন–সংগ্রাম করছে। এই আন্দোলনে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির মব সৃষ্টি করছে, উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন দুই সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হয়। পরে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।