জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি: গতকাল (২৪ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের সময় হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শাহবাগ থানায় মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী এস্টেট ম্যানেজার মো. আলী আশ্রাফ।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ জুন তারিখ ধার্য করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছিলো। এসময় একদল দুষ্কৃতিকারী লাঠি, রড ও নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে একজোট হয়ে নির্বাচন বানচাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করতে অপতৎপরতা শুরু করে। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানালে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ২৪ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুনরায় শিক্ষা ভবনের সামনের দিক থেকে ৩০০-৪০০ জন দুষ্কৃতিকারী কার্জন হলের গেট দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় গেটের নিরাপত্তা প্রহরী কামাল হোসেন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার মাথায় লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করার সময় তিনি হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এতে তার হাত জখম হয়।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজসহ ও নিয়মিত সেবা প্রদান করা দুটি বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা হয়।
আজ বুধবার (২৫ মে) এ ঘটনায় গ্রেফতার কামরুল ইসলাম ও জাহিদুলকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ শাহা। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।