সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলা থেকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন আরও ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আজ (১৮ এপ্রিল) শনিবার দুপুরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিসংখ্যানবিদ মোহাম্মদ মোতাহার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ জন স্থায়ী বাসিন্দা ঢাকা, নারায়রগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে পালিয়ে আসে। এঅবস্থায় আশপাশের প্রতিবেশীরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবগত করে। সম্প্রতি চেয়রম্যান কিসমতবিল্লি কলেজে ও বিভিন্ন স্কুলে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে তাদের অনুরোধ করেন।
এনিয়ে তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ জন নাগরিক ঢাকায় তাদের কর্মস্থল থেকে বেতন না পেয়ে বাড়িতে পালিয়ে আসে। এমন খবর পেয়ে তাদেরকে বিল্লি কলেজে ও বিভিন্ন স্কুলে কোয়ারেন্টিনে ফ্রি থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি আছে কি না এমন সন্দেহে নমুনা সংগ্রহের জন্য শনিবার সকালে ৫ জনকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এরা হলেন- উপজেলার বৈদ্যপুর গ্রামের খলিলের পুত্র এমদাদুল (৫০), চন্দনকৌঠা গ্রামের সোহেলের পুত্র সুজন (২০) ও তার ভাই আল-আমিন (১৬)। এছাড়া কিসমতবিল্লি গ্রামের মোছাব্বিরের পুত্র আলাউদ্দিন (২৮) ও আশরাফুলের পুত্র আলম (২৭)। এরআগে করোনার উপসর্গ আছে এমন ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৮ ও ৯ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের রির্পোট পজেটিভ ছিল। পরীক্ষায় মেলেনি করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোজীয়ারা খাতুন জানান, নমুনা সংগ্রহকারীদের মধ্যে দুইজনকে মেডিকেলে ভর্তি করা। অন্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) থেকে নমুনা রির্পোট পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্র্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।