দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ত্রাণবাহী একটি কাভার্ডভ্যান থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক এবং কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ডেইলপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আজাদ।
আটকরা হলেন- চট্টগ্রাম শহরের কালামিয়া বাজার এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে করিম উল্লাহ (৩৫) এবং সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ইউনিয়নের লাকসাম এলাকার মোহাম্মদ সোলাইমানের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩২)।ওসি বাবুল বলেন, মঙ্গলবার সকালে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ডেইল পাড়ায় ছোট মহেশখালী উচ্চ বিদ্যালয় গেইটে এলাকায় অবস্থান নেয়া মালবাহী একটি কাভার্ড ভ্যানের লোকজনের গতিবিধি সন্দেহজনক দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িটি তল্লাশি করে। এসময় কাভার্ড ভ্যানটির পাটাতনের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ১ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় গাড়িতে থাকা ২ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, করোনায় দুর্যোগ কবলিত মানুষদের সহায়তার জন্য কাভার্ড ভ্যানটি দেড়শত প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে মহেশখালীতে পৌঁছায়। গাড়িটিতে থাকা লোকজন ত্রাণ সামগ্রী কেনার ভাউচার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখিয়ে মহেশখালীতে প্রবেশ করেছে। পরে তারা ত্রাণ সামগ্রীগুলো ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ওসমান গনির সহায়তায় স্থানীয়দের মাঝে বিতরণ করেছে। পরে গাড়িটি চট্টগ্রামে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
আটকদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে বাবুল বলেন, ইয়াবাগুলো আটকরা ছোট মহেশখালীর ইউপি সদস্য মো. ওসমান গনির কাছ থেকে সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম পাচার করছিল। এর আগে গত ১ রমজান থেকে ৯ রমজানের মধ্যে মহেশখালী থেকে তারা ইয়াবার আরো ২ টি চালান চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পাচার করেছে।ঘটনার পর থেকে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ওসমান গনি পলাতক রয়েছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত)।বাবুল জানান, আটকদের কাছ থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। উদ্ধার করা ইয়াবার চালান পাচারের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে সেটির রহস্য উন্মোচনে পুলিশ খোঁজ-খবর নিচ্ছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন