প্রত্যয় ডেস্ক: জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে টানা চতুর্থদিনের মতো বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগ ও রাজার ক্ষমতা খর্ব করার দাবিতে গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) থেকে রাজপথে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্র-জনতা। জরুরি অবস্থা, পুলিশের বল প্রয়োগের প্রেক্ষাপটেও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে তারা।
থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ বছরের বেশির ভাগ সময় বিদেশেই কাটান। সম্প্রতি বিদেশভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি। বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর রাচাদামনোন এভিনিউতে রাজদম্পতি বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেখানেই অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী রাজতন্ত্রের সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এই বিধান লঙ্ঘনের সাহস দেখাচ্ছে। ইতিমধ্যে রানির বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে দুই বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
জরুরি অবস্থা জারির পর থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) তিনি এক ঘোষণায় বলেন, তার সরকার ক্ষমতার ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না। সরকারের হুমকির পরও দাবিতে অনড় রয়েছে বিক্ষোভকারীরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সরকার ও রাজতন্ত্রবিরোধী এই বিক্ষোভের অবসানে থাই নেতাদের কোনো সহজ ‘অপশন’ নেই।