নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)’ র তালিকাভুক্ত দেশের সর্বকনিষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা নানজীবা খান।
মাত্র ১৯ বছর বয়সেই পরিচালনা করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচিত্র। ২০০ তারকাশিল্পীর অংশগ্রহণে সম্পন্ন বাংলাদেশের বহুল আলোচিত সিএসআর প্রজেক্ট “দি আনওয়ান্টেড টুইন” আনওয়ান্টেড টুইন’ যেটির ২ টি সেগমেন্ট: চলচিত্র ও সামাজিক সচেতনতামূলক ফটোশুট ইতোমধ্যে নজর কেড়েছেন সবার।
বহুমাত্রিক এক প্রতিভার নানজীবা একাধারে ট্রেইনি পাইলট,, সাংবাদিক,নির্মাতা, উপস্থাপিকা ,লেখক, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বিএনসিসি ক্যাডেট অ্যাম্বাসেডর, ইউনিসেফ-এর তরুণ প্রতিনিধি এবং বিতার্কিক। তার বহুমুখী প্রতিভার কথা প্রায় সবারই জানা।
২০০৭ সালে জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতা জয়নুল কামরুল ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন পেন্টিং কম্পিটিশনে অংশগ্রহন এবং পুরস্কার অর্জন করেন। জীবনের ১ম অর্জনই ছিল আন্তর্জাতিক।শুরুটা করেছিলেন রঙ তুলি দিয়ে।হাতে কলম ধরার আগেই পাঁচ বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে গিয়েছিল কিশলয় কচিকাঁচার মেলায় ছবি আঁকা ও আবৃত্তি শিখতে।
২য় শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘কাগজ কেটে ছবি আঁকি” অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মিডিয়ার জীবন শুরু করেন তিনি।বর্তমানে বিটিভি তে “আমরা রঙ্গিন প্রজাপতি”, “আমাদের কথা”, “আনন্দ ভুবন”, ও “শুভ সকাল” অনুষ্ঠান উপস্থপনা করছেন।
১৩ বছর বয়সে জীবনের প্রথম স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচিত্র “কেয়ারলেস” পরিচালনা করেন । জীবনের প্রথম প্রামাণ্য চিত্র “সাদা কালো” পরিচালনার জন্য “ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড” অর্জন করেন । আর এটি তৈরি করতে যা টাকা খরচ হয়েছে তার সবই ছিল তার টিফিনের জমানো টাকা। এরপরে “গ্রো আপ”, “ দি আনস্টিচ পেইন” সহ আরও কিছু প্রামাণ্য চিত্র তৈরি করেছেন ।
৮ম শ্রেণীতে পড়াকালীন ঢাকার সাড়ে ৩ হাজার প্রতিযোগীকে টপকিয়ে শিশু সাংবাদিক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। জীবনের ১ম সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের । পর্যায়ক্রমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সংস্কৃতিমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী,সমাজকল্যান মন্ত্রী, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী,গণপুর্তমন্ত্রী, তথ্য-প্রযুক্তিপ্রতিমন্ত্রী,স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, মেয়র সাঈদ খোকন সহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট মানুষ যেমন- সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সেলিনা হোসেন, এমদাদুল হক মিলন, হাবিবুল বাশার, আবেদা সুলতানা, সাদেকা হালিম, নিশাত মজুমদার, ফরিদুর রেজা সাগর,জুয়েল আইচ,র্যাবের প্রধান বেনজির আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌস, ওয়াল্ড ডিবেট সোসাইটির পরিচালক অ্যালফ্রেড স্নাইডার ও ভারতের রক্ষামন্ত্রী সহ এ পর্যন্ত ৮০ জন বিশিষ্ট জনদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন দ্বায়িত্ব পালন করেছেন ক্যামরিয়ান ডিবেটিং সোসাইটির “ভাইস প্রেসিডেন্ট” হিসেবে। স্কুল ও কলেজ জীবনে বিতার্কিক হিসেবে অর্জন করেছেন বেশ কিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার। পেয়েছেন উপস্থিত ইংরেজি বক্তৃতায় বিএনসিসি ও ভারত্বেশ্বরী হোমসের প্রথম পুরস্কার।
বিদেশের মাটিটে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন দুই দুইবার। এবছর ইউনিসেফ থেকে বাংলাদেশের একমাত্র তরুন প্রতিনিধি হিসেবে ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন “বিএনসিসি ক্যাডেট অ্যাম্বাসেডর” হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জীর সাথে সাক্ষাৎ এবং রক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন । রাশিয়া,ভারত,সিঙ্গাপুর, কাজাকিস্তান,কিরকিস্তান,ভিয়েতনাম,শ্রীলংকা, নেপাল,ভুটান,মালদ্বীপ সহ দেশ সহ মোট ১১ টি দেশের সামনে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর “রাইফেলে ফায়ারিং”, “অ্যাসোল্ড কোর্স”, “বেয়ানোট ফাইটিং” ও “সশস্ত্র সালাম”।