প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ এবার থেকে নতুন নিয়মে হবে প্রায় পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন। জানা গেছে, এসব শিক্ষকের বেতন দেয়া হবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বেতন পাওয়ার বিষয়টি সার্বিকভাবে দ্রুত, সহজ ও ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ঝামেলা এড়াতেই এমন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতনের টাকা পাওয়ার বিষয়টি আরো দ্রুত ও সহজ করার পরিকল্পনা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে বেতন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।
সূত্র মতে, গত অক্টোবরে নতুন করে দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় চার লাখ ৯৬ হাজার। তারা সরকার থেকে মূল বেতনের সঙ্গে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয় মিলিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা পান।
এতে সরকারের ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা। আর সুবিধাটি পেতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্টের তালিকা যাচাই-বাছাই করে সরাসরি ওই মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে অর্থ মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রশিক্ষণ, অন খরচসহ এমপিওভুক্ত খাতে বরাদ্দ আছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। শুধু এমপিওভুক্তিতে বরাদ্দ প্রায় ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই পাঠানো হবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এ জন্য ১০০ টাকা পাঠাতে সরকারের খরচ হবে ৭০-৮০ পয়সা। সে হিসাবে সব মিলিয়ে সরকারের খরচ পড়বে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সংগতি আনতেই এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এমপিওভুক্ত এসব শিক্ষকের বেতন ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া হয়ে থাকে। অর্থ মন্ত্রণালয় চেকের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকে বেতনের টাকা ছাড় করে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকগুলো টাকা ছাড়করণে গড়িমসি করে। এ জন্য শিক্ষকদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। এতে শিক্ষকরা তাৎক্ষণিক বেতনের টাকা পেয়ে যাবেন।
এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নির্দেশনা দিতে পারে। সবার অ্যাকাউন্ট খোলা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষকদের একটি তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় তালিকায় থাকা নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সার্ভারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। সব মিলে গেলে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন