দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের হাতে ফাতেমা বেগম (১৪) নামে ১ মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত ঘাতক মা রহিমা বেগম (৩৫)কে আটক করেছেন।
রোববার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বিনোদনগর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।সোমবার (১৫ জুন) ভোরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান।
তিনি দেশ কালান্তরকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। কয়েকদিন আগে নবাবগঞ্জ উপজেলার পাঠানগঞ্জে মা রহিমা বেগম ও মেয়ে ফাতেমা বেগম নানার বাড়ী বেড়াতে যায়। সেখানে ১ ছেলে ফাতেমাকে ১টি টার্চ মোবাইল উপহার দেয়। বিষয়টি সে মাকে না জানিয়ে গোপন রাখে। রোববার বিকেলে বাড়ীর আম গাছে আম পাড়তে উঠলে মা মোবাইল ফোনটি দেখে ফেলে। পরে মা মোবাইলটি ঘরের সোকেসে রেখে পাশের গ্রামের বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়ী চলে যায়। এই সুযোগে মেয়ে ফাতেমা সোকেসের ড্রয়ার ভেঙ্গে মোবাইল বের করে নেয়। পরবর্তীতে মা বাড়ীতে এসে বিষয়টি দেখে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে। পরে এক পর্যায়ে মেয়ের পড়নের ওড়না দিয়ে গলায় বেধে চাপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফাতেমা মারা যায়।
বিষয়টি এলাকাবাসী দেখে ঘাতক মা রহিমা বেগমকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আজ মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক মাকে আটক করে এবং হত্যাকান্ডের শিকার মেয়ে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এই ঘটনায় মেয়ের চাচা আলম মিয়া বাদী হয়ে ঘাতক মা রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..