দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনা মহামারীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশে। গেলো এপ্রিল মাসেই দেশটিতে চাকরি হারিয়েছেন ২ কোটির বেশি মানুষ। অর্থনীতিতে ধস নামার সাথে সাথে বেকারত্ব বৃদ্ধির এ হার ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্ব ১০ শতাংশ থেকে কমে চারের নিচে নেমে এসেছিলো। কিন্তু মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে তা হু হু করে বেড়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
মহামারি শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আর্থিক সূচকের প্রবৃদ্ধি গেল এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে পৌঁছায়। খুচরা বিক্রির চিত্র চরম খারাপ। বিভিন্ন সেবা খাতের অবস্থাও নাজুক। তবে কাজে না থাকাদের ৩৩ শতাংশ মানুষ নিজেদেরকে সাময়িক বেকার বলে ভাবছে। তারা আশা করছেন মহামারি শেষে অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। মহামারি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ ঋণের প্রয়োজন পড়তে পারে।
অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন, মহামারির কারণে, ব্যবসার ধরনে পরিবর্তন আসবে, হোটেল রেস্তরাঁয় শ্রমিকের চাহিদা কমবে, এমনকি কোন কোন প্রতিষ্ঠান টিকতেও পারবেনা যদি করোনার প্রকোপ আরো দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়। এরই মধ্যে গত ছয় সপ্তাহে তিন কোটি ত্রিশ লাখ মার্কিন নাগরিক বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন ২ কোটি ৫ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। যেটা ধারনার বাইরে নয়, এরজন্য বিরোধীদলও কোন সমালোচনা করছে না। আমি তাদের কাজ ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে পারি।
তবে এধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয় করোনা মহামারিতে ব্রিটেনের বড় ধরনের মন্দার আশংকা জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসাথে কানাডায় বেকারত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন