নিউজ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে। তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন জেলা করোনা ফোকাল পারসন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। তিনি করোনার প্রথম পর্যায়ে আছেন বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন ও ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলামের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) তাদের দুইজনের রিপোর্ট আসলে জেলা প্রশাসকের করোনা নেগেটিভ আসলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। গত বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম ও সুপার জায়েদুল আলম কেউই অফিস করেন নি। এমন পরিস্থিতিতে ওই চারজন অফিস কেন করছেন না, এমন খবর ধীরে ধীরে সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। পরে খবর নিয়ে জানা যায়, তারা চারজনই বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে তিনজনেরই সর্দি-কাশি রয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা জানান, জেলা প্রশাসক বাড়িতে আছেন। জনসমাগম যাতে কম হয় এ কারণে অফিসে কম সময় দেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের সব কাজ চলছে। করোনার নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তিনি (ডিসি) কাশিসহ অসুস্থ অনুভব করেছিলেন। এ কারণে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। তবে তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। করোনা বিষয়ক জেলা ফোকাল পার্সন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বর্তমানে আইসোলেশনে আছি। শরীর ভালো না, বেশ অসুস্থ। মুঠোফোনে যতটুকু পারছি চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, আমি সুস্থ আছি। আমি কোয়ারেন্টিনে নেই। তবে ডিসি ও সিভিল সার্জন একটু অসুস্থ। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের সংস্পর্শে থাকার কারণে বর্তমানে বাড়িতেই অফিস করছি। আর এই মুহূর্তে আমাদের সবার সামাজিক দূরত্ব মেনে পরিস্থিতি মোকাবেলা প্রয়োজন।