দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ গাজীপুরে একটি বাসা থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুন) রাতে নগরীর পশ্চিম বিলাশপুর এলাকার বাসা থেকে পুলিশ কনস্টেবল রবিউল আউয়ালের লাশ উদ্ধার করা হলেও শুক্রবার তা জানাজানি হয়।
‘মা ও ভাইয়ের মৃত্যুশোক সইতে না পেরে রবিউল নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন’ বলে পুলিশের ধারণা। কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন রবিউল আউয়াল। তিনি ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল খন্দকারের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভুঞা জানান, প্রায় ৭/৮ মাস আগে বিয়ের আগের দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আউয়ালের বড় ভাই মারা যান। এর কয়েকদিন পর আউয়ালের মাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মা ও ভাইয়ের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন আউয়াল।
তিনি আরও বলেন, ‘গত জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে গাজীপুরের বাড়িতে যান আউয়াল। কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন। পরে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে মার্চ মাসে আবার ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন আউয়াল। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার মানসিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় স্বজনরা সেখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে কর্মস্থলে যোগদানের চিঠি পেয়ে বুধবার সকালে আউয়ালকে নিয়ে তার বাবা ও ভাই কিশোরগঞ্জে যান। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় আউয়ালের পক্ষে কর্মস্থলে যোগদান করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন আউয়াল ও তার বাবা-ভাই। বাড়ি ফিরে আসার পর রাত ৮টার দিকে আউয়াল তাদের রান্নাঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজার ছিটকিনি আটকে দেয় বলে জানায় ওসি।
সদর থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ সময়েও আউয়ালের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই ঘর থেকে আউয়ালের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।”
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি বটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন