1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পবিত্র লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রা

  • Update Time : বুধবার, ২০ মে, ২০২০
  • ১৮০ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ আজ ২৭শে রমজান দিবাগত রাত লাইলাতুল কদর এর রাত।লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম রাত, মাহাত্মপূর্ণ ও সম্মানিত রাত্রি। এ রাতের বিরাট মাহাত্ম ও অপরিসীম গুরুত্বের কারণে রাতটিকে ‘লাইলাতুল কদর’ তথা মহিমান্বিত রাত বলা হয়।

কোরআনুল কারীমে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি একে নাযিল করেছি শবে কদরে। শবে কদর সম্পর্কে আপনি কি জানেন? শবে কদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা আল কাদর : ১-৫)।

এ রাতে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ফেরেশতাগণের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিজিক, বৃষ্টি ইত্যাদির মেয়াদ ও পরিমাণ নির্দিষ্ট করে তা সংশ্লিষ্ট ফেরেশতাগণকে লিখে দেওয়া হয়।

নির্দিষ্ট করে শুধু ২৭ রমজানের রাতই শবে কদর হবে তা বলা ঠিক হবে না। সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম শরিফের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে— ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে (ইমানসহ) এবং সওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় এ রাতে জেগে ইবাদত বন্দেগি করবে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সব পাপ মোচন করে দেওয়া হবে।’ হাদীছে রাসূল (সা.) বলেছেন : ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ কর।’ অর্থাৎ রমজান মাসের শেষ দশকের মধ্যে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখের বেজোড় রাতে শবে কদর হতে পারে।

পবিত্র কোরআন ৩০ পারা একসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছিল এ রাতেই। এইজন্য লাইলাতুল কদরের ফজিলত অপরিসীম। তাই সারা রাত জাগরণ করে সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগীতে মনোনিবেশ করা কর্তব্য। বেশি বেশি নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, সালাতুস তাসবিহ, কাজা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সাদকা, জিকির-আজকার, তাসবিহ (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজীম ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলূল্লাহ ), তাওবা-ইসতেগফার, দুয়া-দুরূদসহ নফল আমলের প্রতি মনযোগী হওয়া একান্ত জরুরী।

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! যদি আমি “লাইলাতুল কদর’’ জানতে পারি, তাহলে সে রাতে কি বলব? তিনি বললেনঃ তুমি বল, اللهم إنك عفو تحب العفو فاعفواع অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাকারী, তুমি মাফ করতেই পছন্দ কর, অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও। উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউন, তু’হিব্বুল ‘আফওয়া, ফা’ফু ‘আন্নী [জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫১৩]

মহান রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে এই অতুলনীয়, মর্যাদাময় রজনীর ফায়দা লাভের মাধ্যমে নিজেদের অতীত জীবনের ভুল-ক্রুটি ক্ষমা ও নেকীর ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার তাওফীক দান করুন।

লেখকঃ মোঃ আব্বাস আলী সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) জি, টি ডিগ্রী কলেজ, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ।

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..