ক্রীড়া ডেস্ক: জীবনযুদ্ধে হার মানলেন গোলাম রাব্বানী হেলাল। শনিবার পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন দেশের সাবেক এই ফুটবলার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। বৃহস্পতিবার স্ট্রোক করেছিলেন ‘আবাহনীর হেলাল’। দ্রুতই নেওয়া হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার দুপুর ১২টার দিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন তিনি।
হেলালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফুটবল অঙ্গনে। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বরিশাল থেকে উঠে আসা হেলাল ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন ঢাকা আবাহনীর চেনা মুখ ছিলেন। মাঝে আড়াই মাস বিজেএমসিতে কাটানো ছাড়া ক্যারিয়ারে পুরো সময়ই ছিলেন আবাহনীতে। খেলা ছেড়ে আবাহনীর পরিচালক হয়েছেন।
একই ক্লাবের ফুটবল দলের নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৮ সালে ঢাকায় এশীয় যুব ফুটবল দিয়ে জাতীয় স্তরে খেলা শুরু। মূল জাতীয় দলে খেলা শুরু ১৯৭৯ সালে। মাঝে বিরতি পড়লেও খেলেছেন ১৯৮৫ পর্যন্ত। ১৯৭৮ লিগে ওয়ারীর কাছে দু’বার হেরেছিল আবাহনী। পরের বছরই সেই ওয়ারীর ডানা ছেঁটে দেন হেলাল। হ্যাটট্রিক করেন ওয়ারীর বিপক্ষে।
১৯৮২ সালে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে গোলমালের সূত্র ধরে আবাহনীর যে চার ফুটবলারকে কারাগারে নেওয়া হয়, হেলাল তাদের একজন। বাকি তিনজন কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার। হেলাল বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য হন ২০০৮ সালে।