রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পাহাড়ে ২১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার পরিবারকে সোলার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন । পার্বত্যঞ্চল প্রতিনিধি। পার্বত্য জেলায় ২১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার পরিবারকে সৌরবিদ্যুৎ আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন।
রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৪০ হাজার পরিবারকে সৌরবিদ্যুৎ বিতরণ করবে সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। তিন পার্বত্য জেলায় এসব সৌরবিদ্যুৎ বিতরণের লক্ষে ২১৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
সূত্র জানায়, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম ও দূরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী ৪০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুতের সুবিধায় আনতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল বিতরণ করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ‘খ’ খন্ডের ১৯ ধারা মোতাবেক সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। মন্ত্রণালয়টিতে উপজাতয়ীদের মধ্য হতে একজনকে মন্ত্রী নিয়োগ করেছে সরকার। মন্ত্রণালয়টির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে এ সরকার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ ও দিক-নিদের্শনায় পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। প্রধানমন্ত্রী সব সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়ে রাখছেন। উল্লেখ্য, তার আগে তিন পার্বত্য জেলা সোলার প্রকল্প বরাদ্ধ হয়েছিল। গত বছর সোলার ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষনের নামে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগসহ মাঠ পর্যায়ে নানান ধরনে অনিয়ম সরেজমিন সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ভুক্তভোগীসহ সকলের অভিযোগ বস্তুনিষ্ট হওয়ায় প্রতিবাদ দেওয়ার সাহস করেনি।
উল্লেখ্য- ২০১৫-২০১৯ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১৩,৭০৮ পরিবার প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৬০৬.৩১ লক্ষ টাকা । প্রত্যান্ত এলাকার সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রকল্প গ্রহন করেছিলেন। কিন্ত প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়ম ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল । যারা সোলার প্রকল্পের তালিকাভুক্ত হওয়ার নিয়ম থাকলেও তারা অধিকাংশ পায়নি। সুবিধাভোগী কোন পর্যায়ে কারা সোলার পাবে নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। রাঙ্গামাটি শুভলং মন আদাম কেয়াং উত্তম বিকাশ চাকমার নামে সোলার ও জারুলছড়ি সমবায়বৌদ্ধ বিহার ,ভুষন ছড়া বৌদ্ধ রঞ্জন চাকমার ,ভাসান্যা আদাম ,কুমড়া পাড়া.কচুনালা বনবিহারে রেবতি চাকমার নামে সোলার প্যানেল পাইনি বলে জানাগেছে।