বরগুনা প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি এবং বিদ্বেষমূলক প্রচারপত্র বিতরণের অভিযোগে সৌদি প্রবাসীসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন পাথরঘাটা পৌরসভার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম কাকন। ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিক মামলা আমলে নিয়ে পিবিআই পটুয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো– বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের সৈয়দ আহমেদ শরিফের ছেলে সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমেদ শরীফ, জিয়া শরীফ, মাসুম শরীফ ও নয়া মিয়া হাওলাদারের ছেলে ইমরান হোসেন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল আহমেদ শরীফ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে প্রবাসী হিসেবে অবস্থান করেন। সেখান থেকে তিনিসহ অন্য আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে বিদ্বেষ ও কটূক্তিমূলক পোস্ট করে আসছে। এ ছাড়া প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল শরীফ জঙ্গি সংগঠনের অর্থ সহায়তা করেন বলেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়। অন্য আসামিদের মাধ্যমে ফয়সাল শরীফ বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করাচ্ছেন বলেও বাদী অভিযোগ করেন।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, ফয়সাল শরীফ বিদেশে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়েও দেশের সরকারপ্রধান, এমপি-মন্ত্রীদের নিয়ে কটূক্তি করে যাচ্ছেন। এতে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমি দেশের স্বার্থে মামলাটি করেছি। মামলা করায় এরই মধ্যে আমাকে আসামিরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে শুরু করেছে। তাই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাবির হোসেন বলেন, আসামিরা যা করেছে, তাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই সৌদি প্রবাসী আসামিকে দেশে এনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামাল হোসেন বলেন, আদালত মামলাটির অধিকতর পর্যালোচনা শেষে পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।