নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর হ্রাসসহ বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা অর্জন করা কঠিন। তবে ব্যবসাবান্ধব এ বাজেট বাস্তবায়ন হলে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের যে ক্ষতি, তা পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অবকমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লিখিত বক্তব্যে ডিসিসিআই জানায়, বিশ^ অর্থনীতি যখন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত, ঠিক এই কঠিন সময়ে আজকের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে ঘোষিত জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ এ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮.২% ও মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৪% নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই সময়ে এরূপ প্রোগ্রেসিভ ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যঞ্জক। কিন্তু এ ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে উত্তরণ ঘটাতে হবে যা অনেকাংশে কঠিন। তবে বাজেটে বিনিয়োগ বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় ডিসিসিআই। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ।
এ অবস্থায় সরকার শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং রফতানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ, রফতানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতার জন্য সহজশর্তে ঋণ প্রদানসহ যেসব আর্থিক ও নীতিগত সহায়তা প্রদান সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
পাশাপাশি, রফতানিমুখী পোশাক শিল্প, চামড়া, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য এবং ঔষধ পণ্যসমূহের কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম আয়কর অব্যাহতি ও অগ্রিম কর প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি। করোনা প্রাদুর্ভাব পরবর্তী সময়ে বিশ^ব্যাপী রফতানি চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এমতাবস্থায় উৎসে কর ০.২৫% এর পরিবর্তে ০.৫% করার কারণে সকল রফতানিমুখী শিল্প চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। তাই রফতানি আয়ের ওপর উৎসে কর বৃদ্ধিও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই।