নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন গ্রেডেশন লিস্ট (জ্যেষ্ঠতা তালিকা) সংগ্রহ করা হচ্ছে। চলতি মাস থেকে ধাপে ধাপে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষকদের ওই পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। আগামী মাসের মধ্যে দেশের ১৮ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতির আওতায় আনা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (১২ জুলাই) ডিপিইর মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজারের মতো বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিকে সহকারী শিক্ষকদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসনে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষকদের কাগজপত্র এসেছে। সেসব একত্রিত করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়ে জেলাভিত্তিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। অন্যদেরও কাগজপত্র অধিদফতরে চলে আসলে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে জেলাভিত্তিক সকলকে পদোন্নতির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য আসনের বিপরীতে প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ হাজার সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আরও ২০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
মামলাজনিত কারণে স্থায়ী নিয়োগ দেয়া সম্ভব না হওয়ায় ২০১৮ সালের ২৩ মে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফিজুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য স্থানে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর দেশের ৬৪ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক শূন্য বিদ্যালয়ে পদায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করার পর বর্তমানে চলতি দায়িত্ব পাওয়া ব্যক্তিদের স্থায়ীভাবে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।