করোনা পরিস্থিতি যদি আর খারাপ না হয়, তাহলে আসছে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির এক সভা শেষে তিনি সংবাদিকদের এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন ও এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে যদি আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামঝি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলতে পারি তবে আগামী শবে কদরের আগে পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটি-ছাটা বাদ দিলে এসএসসির শিক্ষার্থীদের ৬০ দিন ক্লাস নেয়া সম্ভব হবে। সপ্তাহে ৬ দিন করে ক্লাস নিয়ে গড়ে তারা প্রতিটি বিষয়ের ৩০টি করে ক্লাস পাচ্ছে। তার মধ্যে কতটুকু পড়ানো যায় শিক্ষার্থী কতটুকু নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নবম-দশম শ্রেণির পুরো সিলেবাসে নেয়া ও জানা জরুরি ততটুকু নিয়ে তাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সিলেবাস শেষ করে শ্রেণিশিক্ষক ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা নেবেন। শিক্ষার্থী কতটুকু শিখছে তা ক্লাসে ঝালাই হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষার বিষয়টি সিলেবাসে উল্লেখ করা হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অর্থ আদায় করা যাবে না। ৯ মে ফরমাল ক্লাস শেষ করা হবে। ক্লাসে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে আসতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসির প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্কুল খোলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
দীপু মনি বলেন, ঈদের পরে ১৮ মে থেকে স্কুলগুলো খোলা থাকবে সেখান থেকে জুনে এসএসসির সময়সূচি প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে স্কুলগুলো তাদের কোনো টেস্ট, প্রি-টেস্ট বা যেকোনো নামে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নিতে পারবে। সে পরীক্ষার ফলের মূল্যায়নে অথবা শ্রেণি শিক্ষকের মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এসএসসির বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে। আপাতত শুধু ক্লাস শুরু করা হবে, কেউ কোনো ধরনের পরীক্ষা নিতে পারবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসির ক্ষেত্রে আমরা ১৬ জুন পর্যন্ত ক্লাস করাতে পারলে তারা ৮৪ দিন ক্লাস পাবে, ৫০৪ ক্লাস হবে। বিষয়ভিত্তিক গড়ে ৩৮টির মতো ক্লাস নেয়া সম্ভব হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সকল বিষয় উল্লেখ করা থাকবে। এসএসসির মতো করে কয়েকটি অধ্যায় শেষ করে ক্লাস পরীক্ষা নেবেন শ্রেণিশিক্ষক। পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। এর বাইরে যদি কেউ টেস্ট বা প্রি-টেস্ট নিতে চায়, আমরা পরিস্থিতির ওপর তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। এইচএসসির তত্ত্বীয় বিষয়ের সঙ্গে ব্যবহারিকেরও সিলেবাসও কমানো হবে। জুলাইয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।