বগুড়ার সংবাদদাতাঃ বগুড়া সদরের ধরমপুর পুর্বপাড়ার আল ইমরান ইমন কে ডেকে নিয়ে গিয়ে ৫ জন মিলে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
নিহত আল ইমরানের বাড়ি ধরমপুর পূর্বপাড়ায়। তার পিতা মৃত মামুনুর রশীদ। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় মৃত আল ইমরান ইমন কে তার পূর্বপরিচিত ৪ জন যুবক সরকারি আজিজুল হক কলেজের কমার্স ভবনের খেলার মাঠের সামনে পাকা রাস্তার উপরে ডেকে নিয়ে গিয়ে দুই পায়ের থাইয়ের পেছনে ছুরি দিয়ে ৩ টি স্টেপ করে। পরে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ এরপর পরই আসামীরা বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিতে থাকে যে, মেডিকেলে গিয়েও তারা হামলা করবে। তাদের ভয়ে পরিবার মৃত আল ইমরান ইমন কে বাসায় নিয়ে এসে চিকিৎসা করতে থাকে। অদ্য ১৯ জুলাই তারিখে ভোর ৬ টায় তার মা এমিলি বেওয়া রুমে গিয়ে ডাকাডাকি করলে মৃত আল ইমরান কোনও সারাশব্দ করে না। তখন তার চিতকারে আশেপাশের সকলে এসে দেখে সে মৃত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্টেডিয়াম ফাঁড়ীর এস আই জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক প্রত্যয় কে জানান যে, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তিনি অভিযান পরিচালনা করে মামলার ১ নং আসামী ফাউজান আহাম্মেদ মেধা (২৮), পিতাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ঠিকানাঃ জামিলনগর, বগুড়া কে গ্রেফতার করেন। মামলার অপর আসামীরা পলায়ন করেন। আমলার অপর আসামীরা হচ্ছে ২. সানি(২০), পিতাঃ আনোয়ার হোসেন, ঠিকানাঃ জামিলনগর। ৩. মোঃ জিহাদ, পিতাঃ মতি, ঠিকানাঃ জামিলনগর। ৪. লবো (২২), পিতাঃ তারুনি, ঠিকানাঃ জামিলনগর, ৫. রনি (২১), পিতাঃ লাল মিয়া, ঠিকানাঃ জামিলনগর, বগুড়া।
জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান যে, প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যাচ্ছে আসামীদের ছুরিকাঘাতের ফলে ব্যাপক রক্তক্ষরণের কারনে আল ইমরানের মৃত্যু হয় বলিয়া জানা যায়। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সকালে সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ও সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর মৃত ব্যক্তির বাসায় যান। সেখানে সনাতন চক্রবর্তী দৈনিক প্রত্যয় কে জানান যে, ময়না তদন্তের ফলাফল আসার আগে কিছু বলা যাচ্ছেনা।