সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: ১৯৭১ সালের বিজয় উদযাপনের আনন্দটা বাঙালির কাছে ম্রিয়মাণ ছিল। কারণ বাঙালি জাতির রূপকার তখনও পাকিস্তানে বন্দী। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন তখনই প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পান। বঙ্গবন্ধু একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত ভঙুর অর্থনীতির দেশকে এগিয়ে নিতে অনেক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তবে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনও অপপ্রচারে তৎপর। দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং একটি উন্নত-সম্মৃদ্ধশালী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সজাগ থাকতে হবে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে মোংলা পৌর ও উপজেলা আ’লীগের আয়োজনে পৌর আ’লীগ কার্যালয় স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষ্যে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাঙালি জাতির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে বক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। কিন্তু মহান নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পায়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে আসেন তখন বাংলাদেশের আপামর মানুষ উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসে। সমগ্র জাতি সেদিন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
এর আগে পৌর আ’লীগ কার্যালয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলন ও একটি র্যালী বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর শিশু পার্ক সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক ও পৌর আ’লীগ কার্যালয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের করা হয়।
এসময় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, পৌর আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ: রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হোসেনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।